২০২৩ সালের অন্যতম সমস্যা ছিল মূল্যস্ফীতি। তাই বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়িয়ে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনীতিবিদরা মন্দার আশঙ্কা করেছিল। কিন্তু তাদের এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়। কারণ এবছর বিশ্ব জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ শতাংশ। ঘুরে দাঁড়িয়েছে চাকরির বাজার। মূল্যস্ফীতিও কমতির দিকে। তাছাড়া স্টকমার্কেট বেড়েছে ২০ শতাংশ।
Advertisement
অর্থনীতিবিদরা অন্তত ৩৫টি দেশের পাঁচটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। সেগুলো হলো মূল্যস্ফীতি, মূল্যস্ফীতির প্রসার, জিডিপি, চাকরি ও স্টকমার্কেট। এসব ক্ষেত্রে তারা কতটা ভালো করেছে তার ওপরভিত্তি করে তালিকা করা হয়েছে।
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে গ্রিস। যদিও কয়েক বছর আগেও দেশটি অব্যবস্থাপনার উদাহরণ ছিল। দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়া বাকিদের অবস্থান আমেরিকা মহাদেশে। তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ভালো অবস্থানে রয়েছে কানাডা ও চিলিও।
তবে উত্তর ইউরোপের অনেক দেশই অর্থনীতিতে ধীর পারফরমেন্স দেখিয়েছে। দেশগুলো হলো ব্রিটেন, জার্মানি, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড।
Advertisement
২০২৩ সালের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পণ্যের দাম বৃদ্ধি। তবে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া মূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা দেখিয়েছে। সুইজারল্যান্ডে মূল মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। তবে ইউরোপের অনেক দেশই এখনো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। হাঙ্গেরিতে বার্ষিকভিত্তিতে মূল মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১১ শতাংশে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে ফিনল্যান্ড। দেশটি জ্বালানির জন্য রাশিয়ার ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল।
বিশ্বজুড়েই ছিল দুর্বল প্রবৃদ্ধি, যা সীমাবন্ধ করেছে জিডিপি। বছরের শুরু থেকেই কঠোর শ্রমবজারের কারণে চাকরির বাজার খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল না।
জিডিপি প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি খারাপ করেছে আয়ারল্যান্ড ও এস্তোনিয়া। এক্ষেত্রে ভালো করেনি যুক্তরাজ্য ও জার্মানিও। জার্মানি ধুকছে জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে। অন্যদিকে ব্রিটেনের ওপর প্রভাব পড়েছে ব্রেক্সিটের।
যদিও জিডিপির ক্ষেত্রে ভালো করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর অন্যতম কারণ হলো রেকর্ড জ্বালানির উৎপাদন ও আর্থিক স্টিমিউলাস বাস্তবায়ন। বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশটির কারণে আরও কিছু দেশ সুবিধা পাচ্ছে। কানাডায় কর্মসংস্থান বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
Advertisement
এমএসএম