‘প্রয়োজনে ভোটের দিন লাশ হয়ে বাড়ি ফিরবো তবুও ফলাফল নিয়েই আসবো’ বলে মন্তব্য করেছেন বগুড়া-৪ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
Advertisement
নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৮টার দিকে সদর উপজেলার এরুলিয়ায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে ডাব প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হিরো আলম।
হিরো আলম সংবাদ সম্মেলনে জানান, শনিবার সন্ধ্যার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের মুরাদপুর বাজারে তিনি ১০-১৫ জন সমর্থক নিয়ে প্রচারণায় যান। এসময় আওয়ামী লীগের পাঁচ কর্মী কাওছার, তাইজুল, আলম, মাহিন ও জাহিদুর তাকে গণসংযোগ করতে নিষেধ করেন। নৌকা প্রতীক ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকে প্রচারণা করা যাবে না বলে জানান। এসময় তাদের হুমকির ভিডিও করতে গেলে একটি ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
Advertisement
হিরো আলম অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পর পুলিশকে জানালে ওসি আজমগীর হোসেন সেখানে আসেন। তিনি জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো জাহিদুরের সঙ্গে বারবার ফোনে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ওসিকে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছি। তিনি লিখিত অভিযোগের কথা বলেননি। উনাকে জড়িতদের নাম-ঠিকানা দিয়ে এসেছি। রোববারের মধ্যে তাদের গ্রেফতার না করলে ওপর মহলে অভিযোগ জানাবো।’
‘হিরো আলম মৃত্যু বা হুমকিতে ভয় পায় না’ জানিয়ে স্বতন্ত্র এ প্রার্থী বলেন, ‘আমরা সত্যের পথে আছি। ভোটের দিন পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো। যতক্ষণ পর্যন্ত ফলাফল ঘোষণা হবে না আমরা মাঠ থেকে আসবো না। প্রয়োজনে ভোটের দিন লাশ হয়ে বাড়ি ফিরবো তবুও ফলাফল নিয়েই আসবো।’
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বগুড়া-৪ আসন মহাজোট মনোনীত নৌকার প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
Advertisement
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমগীর হোসাইন বলেন, আশরাফুল আলমের ওপর বাধা দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তবে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। এরপরও তিনি অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্তের সঙ্গে ফোনে কথা বলার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘আমি জাহিদুর নামের কাউকে চিনি না। এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
এসআর