হবিগঞ্জ শহরে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেত্রীর গাড়ি ও কয়েকটি ইজিবাইক ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
Advertisement
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের শায়েস্তানগরে এ ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সুজন চৌধুরী বলেন, ‘জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা রেবেকা ইসলাম সুমি ঢাকা থেকে হবিগঞ্জ শহরে আসছিলেন। শায়েস্তানগরে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা তার গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। গাড়িতে তার শিশুসন্তানরাও ছিল। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা রেবেকা ইসলাম সুমি বলেন, ‘আমি আমার সন্তানদের নিয়ে হবিগঞ্জ শহরে আসছিলাম। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা অতর্কিতভাবে আমার গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। আমি ও আমার সন্তানরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ি। তাদের হাতে কনটেইনার ছিল। আমরা দ্রুত চলে না এলে হয়তো তারা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে দিতো।’
Advertisement
স্থানীয়রা জানান, রাত ৮টার দিকে কয়েকজন যুবক শহরের শায়েস্তানগরে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে কয়েকটি ইজিবাইক ও গাড়ি ভাঙচুর করেন। এসময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তখন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পালিয়ে যান। তবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানোর খবর শোনা যায়নি।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এসআর
Advertisement