প্রবাস

সিআইপি হলেন পোল্যান্ড প্রবাসী ইমরান হোসেন

বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পোল্যান্ড ব্যবসায়ী মো. ইমরান হোসেনকে সিআইপি (বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) নির্বাচিত করেছে সরকার।

Advertisement

ইমরান চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সোবহান মোল্লা বাড়ির কৃতি সন্তান। বাবা মরহুম হাছি মিয়া ও মাতা সালমা বেগম। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।

২০২৩ সালের জন্য তিন ক্যাটাগারিতে বিভিন্ন দেশে থাকা ৭০ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে সিআইপি নির্বাচিত করে তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়। বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর তালিকায় ৫৯ জনের মধ্যে ২০ জনই চট্টগ্রামের বাসিন্দা।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় প্রবাসী দিবস ২০২৩ উদযাপন অনুষ্ঠানে নির্বাচিত সিআইপিদের হাতে সম্মাননা ও সিআইপি কার্ড তুলে দেওয়া হবে।

Advertisement

পোল্যান্ড প্রবাসী ইমরান বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার আমাকে সিআইপি হিসেবে নির্বাচিত করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। সরকারি গেজেটভুক্ত ব্যক্তি হিসেবে সম্মাননা যে কারও কাছে মর্যাদাকর প্রাপ্তি। আমার এ কাঙ্ক্ষিত মর্যাদাকর প্রাপ্তিতে আমার সকল শুভানুধ্যায়ী ও বন্ধুদের পাশে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’

নির্বাচিত সিআইপিদের (এনআরবি) প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সরকার অনুমোদিত পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। সিআইপি কার্ডের মেয়াদ থাকাকালীন তারা বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র পান এবং সরকার নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বিষয়ক নীতিনির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। সিআইপিরা দেশ-বিদেশে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অগ্রাধিকার পান।

এছাড়া জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোতে বিদেশে থাকা বাংলাদেশ মিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পান তারা। সড়ক, বিমান, নদীপথে ভ্রমণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকিট পাবেন। হোটেল-রেস্তোরাঁয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা পাবেন। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ চামেলী ব্যবহার এবং স্পেশাল হ্যান্ডলিং ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।

সিআইপিরা স্ত্রী-স্বামী, নির্ভরশীল পুত্র-কন্যা ও নিজেদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কেবিন সুবিধা পাবেন। সিআইপিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং তাদের বিনিয়োগ ‘ফরেন প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট (প্রমোশন অ্যান্ড প্রটেকশন) আইন, ১৯৮০’ এর বিধান অনুযায়ী সংরক্ষণ করা হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

Advertisement

এছাড়া বাংলাদেশে থাকলে বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে এবং সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন সিআইপিরা।

এমআরএম/এএসএম