জ্যোৎস্না ফুলের নীল কাব্য
Advertisement
হিমাদ্রী কুয়াশায় বিবর্ণ এই মাধবী রাতকতটা অন্ধকার শুঁষে হয়েছো বিরহ উপাখ্যানশুধু জানে স্ট্রিট ল্যাম্পের নিয়ন আলোর মঞ্জিল।কত কাঙাল কত নষ্ট গোধূলীর মোহেঅবগাহন করে কাব্যের মরীচিকার ছন্দেনিঃশব্দে ফোটা হাস্নাহেনার উন্মাদে।দেউলিয়াদের মধ্যে কেউ কেউ খুব সস্তায়শহর বিক্রি করে—যন্ত্রণাকাতর রাত্রিভর।খাদ্য ফেরির পরে নিলামে ওঠে লবণাক্ত দেহসুখ-দুঃখের নির্মম আদিম আদিখ্যেতায়।সমুদ্রের পরিশ্রান্ত নোনা জলে বিধৌত করেআগুনপাখির স্বপ্নে বিভোর পুড়ে যাওয়া ‘ক্লান্ত চোখ দুটি’।অন্তরে যুগান্তরের মৌনতার বিষে জর্জরিতখুব নগণ্য স্পর্শেও ছড়ায়—ভিসুভিয়াসের উত্তাপ।কত শত ভুল অনুভূতির ছন্নছাড়া হলুদ খামপৌঁছায় দিগম্ভর গন্তব্যের মায়ায়।
হৃদয় গহীন থেকে তপ্ত শ্বাস নিঃশেষ করেজ্বলে জ্বলে নক্ষত্রের শত ফুল ফুটবে বলে কী বিষাদময় ক্লান্ত আলিঙ্গন!নিস্তেজ ঠোঁটে চুম্বন—চিরন্তন মোহরাঙ্কিত স্বাক্ষর। ‘তবুও জীবন কঠোর উদ্ভাসিত প্রাণের কোন আলোয়’।
****
Advertisement
মৃত্তিকার জয়োধ্বনি
অনুর্বর বক্ষে প্রোথিত শেকড়ের নোঙর—ক্রমশই উপড়ে ফেলছে অতলান্তিক নীল রক্ত।উদ্বেল প্রেমাংশু চাঁদের নৌকা বেয়েকর্পূর স্বপ্নের প্লাবন আসে এই ভয়ার্ত নগরীতে।অঙ্কুরিত শস্যদানার শিরে লাল-সবুজ পাতায়দ্বাদশী মায়ার আঁচলে কৃষকের পাকস্থলী বুঁদ হয়।সহস্র কোটি বছরের রৌদ্রস্নাত তীর্যক রক্ত ঘামেএ উপাখ্যানে বিধৌত করে হিরন্ময় শিশির।তুমি বৃক্ষের মতো দাঁড়ালেই—পৃথিবীর শিরোন্নত হয়।
এসইউ/এমএস
Advertisement