সাহিত্য

পত্র

এধারের পাতাগুলো বড্ড বেশি শুকনো হলদেটে বাসন্তী বর্ণিলহেঁটে এগোনোর সময় পায়ের নিচ থেকে ক্রিসপি পটেটো চিপসের মতোমুচমুচে শব্দ কানে আসে আর ওধারের ডালগুলোতেতো পাতার নিশানাও নেই ডালপালা গুলো লাকরি হয়ে জ্বলে উঠবার অপেক্ষায়...তবুও দুধারের কোন বিভেদ নেইদিগন্তে যেয়ে ঠিকি মিতালি পেতেছে, স্বজাতি তো!

Advertisement

অম্বর আজ নীলাভ নীলকে পেছন ফেলে ধূসর থেকে ধূসরতরঝাঁকে ঝাঁকে পক্ষীকূল কোথাও উধাও যেন,বিবস বোবা প্রকৃতি।

তবুও না দেখা কিছু থেকে যায়, দিবাস্বপ্নের আড়ালে...নিথর বিহ্বল স্বার্থপর গোত্রের অগোচরে

আচমকা পিঁপড়ের সারির মতো সারিবদ্ধ যন্ত্রজানপ্রাণের অস্তিত্ব জানান দিয়ে যায় নিস্তব্ধতাকে খুন করে জীবনের জয়গান গাইতে আসে কেউ আবার ক্ষণিকের অতিথি হয়ে খানিকটা জিরিয়ে নেয় বেছে নেয় পত্রহীন শুকনো ডালের পাশকেইঅসমীয়া দ্বিস্তর বিশিষ্ট শুভ্র সমান্তরাল বিধিনিষেধ কেউ লঙ্ঘন করে না,প্রয়োজন পড়ে না।

Advertisement

হয়তো জানে অনুরাগ থাকলে প্রীতি জন্মাবেই,আজ নয়তো কাল সবুজ পাতা গজাবেই...পাখিরা ফের বসবে ডালে ডালে,চেনা প্রাঙ্গণ মুখরিত হবে তাদের গানে...

পিছু হটবে হলদে মচমচে নিষ্প্রভ অশুভ সকল।

এমআরএম/জিকেএস

Advertisement