দেশজুড়ে

চাচা মাল গুনতেছে, ইলেকশন করবে না: নিক্সন চৌধুরী

আপনি জোর করে নৌকাটা নিছেন। নৌকা দুইবার হারলে আমাদের বুকে রক্তক্ষরণ হয়। আপনার কোনো ক্ষরণ হয় না। যদি আপনার বুকে রক্তক্ষরণ হইতো তাহলে নিক্সনের জোয়ারের ভেতর এবার আপনি নৌকা নিতেন না।

Advertisement

কাজী জাফর উল্যাহ এখন ব্যবসায়ীদের ফোন করে বলেন, আমি তো কো-চেয়ারম্যান ও প্রেসিডিয়াম মেম্বার, নিক্সনের সঙ্গে নির্বাচনে অনেক খরচ কিছু মাল পাঠাও। কাকা কো-চেয়ারম্যান, ছয়বারের প্রেসিডিয়াম মেম্বার, তার এই কথায় একেক ব্যবসায়ী যদি একেক কোটি দেয়, তাহলে ১০০ ব্যবসায়ী ১০০ কোটি দেবে। ওই টাকা কাকা ব্যাংকে ঢুকাবে। চাচার ভোট গিজগিজ করে এই জন্য চাচা দেশে আসেন না। চাচা মাল গুনতেছে, ব্যাংকে ঢুকায়, ইলেকশন করবে না।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে ভাঙ্গা উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের শেখপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহকে উদ্দেশ্য করে স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন একথা বলেন।

তিনি বলেন, নিক্সন চৌধুরী কাউলিবেড়ার সেন্টারে আসবে, বিকেল চারটার সময় ভোট গুনে বের হবে, সাহস থাকলে আপনি আইসেন। কাকাকে হাতজোড় করে অনুরোধ করি, খেলা রাইখা পিছ মাঠ দিয়া পালাইয়া যাইয়েন না।

Advertisement

কাজী জাফর উল্যাহ এবার ১ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারবেন মন্তব্য করে নিক্সন চৌধুরী বলেন, কাউলিবেড়াবাসী আপনাদের কাছে জবান দিয়ে গেলাম, আমার একটা মানুষকে যদি গায়ে হাত দেয়, তাহলে ভাঙ্গায় ১১ ইউনিয়নে তার ১০০ লোকের গায়ে হাত দেওয়া হবে। ওরা যদি একটা ধমক দেয়, পুরা ২৪ ইউনিয়নে ২০০ ধমক খাবেন।

কাউলিবেড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রওশন কবিরের সভাপতিত্বে নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য স্বপন মোল্লা, শেখপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইউনুস মাতুব্বর, ভাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আরাফাত হোসেন, কাউলিবেড়া মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী সিলভিয়া প্রমুখ।

এন কে বি নয়ন/জেএইচ

Advertisement