অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি ক্যাফেতে ১৬ ঘন্টার জিম্মি নাটকের অবসান ঘটাতে নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে দুজন জিম্মি এবং একজন বন্দুকধারী মারা গেছে। সোমবার সারাদিন সিডনির একটি ক্যাফেতে বন্দুকধারী ইরানি শরণার্থী, হারুন মনিস বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে রাখেন।অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইসলামিক স্টেটের প্রতীকের মাধ্যমে নিজের অপকর্ম ঢাকতে চেয়েছিল ঐ বন্দুকধারী। যে দুজন জিম্মি মারা গেছেন তাদের মধ্যে একজন ৩৪ বছর বয়স্ক পুরুষ এবং অপরজন ৩৮ বছর বয়স্ক একজন নারী। এছাড়াও একজন পুলিশ সদস্যসহ চারজন ঐ ঘটনায় আহত হয়েছেন। কমান্ডোদের অভিযানের আগে সোমবার পুরো দিন জিম্মি নাটককে কেন্দ্র করে সিডনির কেন্দ্রস্থল বন্ধ রাখা হয়।বন্দুকধারী ইরানি শরণার্থী জিম্মিদের কয়েকজনকে ক্যাফের জানালা দিয়ে একটি আরবি লেখা কালো পতাকা ধরে রাখতে বাধ্য করেন। অভিযানের পর অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট বলেছেন, ঐ বন্দুকধারী খুব পরিচিত একজন অপরাধী এবং সে নিজের অপকর্ম ঢাকতে ইসলামিক স্টেটের প্রতীক ব্যবহার করছে।মি. অ্যাবট বলেন, “আমরা জানি যে, ঐ অপরাধী রাষ্ট্র এবং কমনওয়েলথ কর্তৃপক্ষের কাছে খুবই পরিচিত ছিল। সহিংস অপরাধের লম্বা একটি ইতিহাসও তার রয়েছে। সে জঙ্গিবাদের প্রতি আকৃষ্ট এবং মানসিক ভারসাম্যহীন। সে হত্যাকারীর দল আইসিলকে প্রতিকীভাবে ব্যবহার করে নিজের অপকর্ম ঢাকতে চেয়েছিল।”পুলিশ কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, সিডনির এই জিম্মি সংকটের নায়ক হারুণ মনিসের নামে তার সাবেক স্ত্রীকে হত্যার মামলাসহ এবং আরও অন্তত ৪০ টি যৌন অপরাধ এবং লাঞ্ছনার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। এসব মামলায় হারুণ মনিস জামিনে ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার নিহত সৈন্যদের স্ত্রীদের কাছে আপত্তিকর চিঠি পাঠানোর অভিযোগেও তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
Advertisement