বিশ্বজুড়ে ফের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। ওমিক্রন ধরনের নতুন উপ-ধরন জেএন.১-এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে থাকায় নতুন করে আতঙ্ক বেড়েছে। ভারত, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশেই জেএন.১ ধরনের প্রকোপ ধরা পড়েছে। খবর বিবিসির।
Advertisement
এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বজুড়ে জেন.১ সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকায় এই উপ-ধরনকে আলাদাভাবে ‘ভ্যারিয়্যান্ট অব ইন্টারেস্ট’ (ভিওআই) শ্রেণিভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরও পড়ুন: ভারতে ৭ মাসে সর্বোচ্চ সংক্রমণ, আরও একজনের মৃত্যু
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, আপাতত এই উপধরনটি জনস্বাস্থ্যের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ বলেই মনে হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে করোনাবিরোধী যেসব ভ্যাকসিন রয়েছে সেগুলো এই উপ-ধরনের ক্ষেত্রেও সুরক্ষা দেবে বলে জানানো হয়েছে। তবে শীতের মৌসুমে কোভিড এবং অন্যান্য সংক্রমণ বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
Advertisement
এদিকে গত কয়েকদিনে ভারতে নতুন এই উপধরনের সংক্রমণ বেশ বেড়ে গেছে। বুধবার (২০) দেশটির স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কেরালা রাজ্যে নতুন করে আরও ৩০০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া মারা গেছে আরও তিনজন। দেশটিতে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৬৯ জনে।
গোয়া, কেরালা এবং মহারাষ্ট্র-এই তিন রাজ্যেই করোনার নতুন ধরনের প্রকোপ বেড়েছে। করোনা সংক্রমণের যে লক্ষণগুলো দেখা যায়, অর্থাৎ ক্লান্তি, মাথাব্যথা, কাশি, জ্বর, জেএন.১-এর সংক্রমণেও মোটামুটি একই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
এদিকে ভারতে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বুধবার এ বিষয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, দেশের সাম্প্রতিক করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি নিয়ে একটি বৈঠকও করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবীয়া। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এসপি সিংহ বঘেল এবং ভারতী পাওয়ার। এছাড়া স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণা দফতরের সচিব, নীতি আয়োগের (স্বাস্থ্য সংক্রান্ত) সদস্যও যোগ দেন বৈঠকে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই বৈঠকেই করোনার সাম্প্রতিক পরিস্থিতির বিষয়ে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকার কথা বলেছেন মান্ডবীয়া। সেই সঙ্গে রাজ্যগুলোকেও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
Advertisement
আরও পড়ুন: ভারতে ফের বাড়ছে করোনা, বিভিন্ন রাজ্যে সতর্কতা
মান্ডবীয়া বলেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কেন্দ্রের সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে প্রতি তিন মাস অন্তর বিভিন্ন রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার মহড়া দিতে হবে। এছাড়াও কোনো রোগীর শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেলেই ইন্ডিয়ান সার্স-কোভ-২ জেনোমিকস কনসর্টিয়ামে (ইনসাকোগ) তার নমুনা পাঠাতে হবে। যাতে করোনার নতুন কোনো রূপ তৈরি হয়েছে কি না তা জানা যায়।
টিটিএন