চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ পান ২৭ হাজার ৭৪ জন শিক্ষক। তাদের মধ্যে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ পান ২ হাজার ৭২০ জন।
Advertisement
২০ সেপ্টেম্বর সুপারিশ পেয়ে অধিকাংশ শিক্ষকই অক্টোবরের শুরুতে চাকরিতে যোগদান করেন। যোগদানের দুই মাস পার হলেও এখনো তাদের একজনও এমপিওভুক্ত হতে পারেননি।
অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও কমিটি তিনটি সভা করেছে। ওই তিন সভা শেষে অধিদপ্তরের জারি করা এমপিও অনুমোদনের তিনটি আদেশ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, একজন শিক্ষকও এমপিওভুক্ত হতে পারেননি।
শিক্ষকরা বলছেন, চাকরিতে যেদিনই যোগদান করা হোক না কেন, যে মাসে এমপিওভুক্ত করা হবে সেই মাস থেকেই বেতন-ভাতা মিলবে। যোগদানের তারিখ থেকে হিসাব ধরে বকেয়া টাকা পরিশোধের সুযোগ নেই। এতে আর্থিক সংকট ও অনিশ্চয়তায় পড়েছেন তারা।
Advertisement
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র বলছে, সব সনদ যাচাইসহ এমপিও আবেদনের বিধান, হার্ডকপিতে আবেদন গ্রহণ ও যাচাই-বাছাই, এমপিও আবেদনে ভুল করাসহ নানা কারণে নতুন শিক্ষকদের এখনো এমপিওভুক্ত করা যায়নি। তবে এ নিয়ে কাজ চলছে।
নতুন নিয়োগ পাওয়া কারিগরি শিক্ষকদের অভিযোগ, এমপিওর ফাইল আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠানো হলেও তা অধিদপ্তরে পাঠানো হয় না। আবেদন করলেও আঞ্চলিক পরিচালকরা তা গ্রহণ করেন না। আবার স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের যোগদান থেকে এমপিওর টাকা বকেয়া বাবদ পেলেও কারিগরি শিক্ষকরা তা পান না।
জানতে চাইলে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
সাইফুলের আগে অধিদপ্তরের এমপিও শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালকের পদে ছিলেন বিমল কুমার মিশ্র। তিনি বলেন, কারিগরি অধিদপ্তরের এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া অনলাইনে নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও নানা জটিলতায় তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। হার্ডকপিতে আবেদন যাচাই-বাছাইয়ে অনেক সময় প্রয়োজন হয়।
Advertisement
এএএইচ/এমআরএম