দেশজুড়ে

নদী পারাপারে ভরসা বাঁশের সাঁকো-ড্রামের ভেলা

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের একটি গ্রাম ‘ধনীরামপুর’। তবে গ্রামটিতে কোনো সেতু নেই। একটি সেতুর অভাবে চরম ভোগান্তিতে গ্রামের আট শতাধিক পরিবার। বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো ও ড্রামের ভেলার ব্যবস্থা করেন। এভাবে বছরের পর বছর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।

Advertisement

সরেজমিনে জানা গেছে, গ্রামের ৩-৪ হাজার মানুষের পারাপারের ভরসা বাঁশের সাঁকো ও ড্রামের ভেলা। এখন পানি কম থাকায় পারাপারে সমস্যা কম। তবে বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকি বেড়ে যায়। নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় ড্রামের ভেলার গতি নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তখন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে পারাপার করতে হয়। অনেক সময় পানিতে পড়ে যান তারা। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষিকাজে জড়িত মানুষ এবং গুরুতর রোগীদের ভীষণ সমস্যায় পড়তে হয় পারাপারে। নীল কমল নামের ওই নদীতে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

পূর্ব ধনীরাম গ্রামের ফজলুল করিম জাগো নিউজকে বলেন, প্রায় ৫০০ পরিবার নীল কোমল নদীর পূর্ব পাড়ে বসবাস করছে। আর পশ্চিম পাড়েরও প্রায় দেড় থেকে দুইশ পরিবার নদীর ওপারে কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। নদী পারাপারে কষ্টের সীমা থাকে না।

আব্দুল বাতেন নামের আরেকজন বলেন, ‘আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। আমরা নীল কোমল নদীতে একটি সেতু চাই।’

Advertisement

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিব্বির আহমেদ জানান, আপাতত মানুষজনের দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত একটি টেকসই বাঁশের সাঁকো নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থায়ী ব্যবস্থার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।

ফজলুল করিম ফারাজী/এসআর/জেআইএম