কত দিনের যে অপেক্ষার অবসান হলো! কত সমালোচনা যে সইতে হয়েছিলো এরই মধ্যে। সবাই যখন সৌম্য সরকারকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিলেন, তখন তাকে আগলে রেখেছিলেন কোচ হাথুরুসিংহে। যে কারণে অফ ফর্ম সত্ত্বেও তাকে বার বার সুযোগ দিয়ে দেখছিলেন, আগের সেই চেনা রূপে তিনি ফিরে আসেন কি না।
Advertisement
সত্যিই চেনা রূপে তিনি ফিরে এলেন। শুধু এলেনই না, শচিন টেন্ডুলকারের রেকর্ড ভেঙে, বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়লেন সৌম্য। ১৫১ বলে তার ঝোড়ো ১৬৯ রানের ইনিংস, বাংলাদেশকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দিয়েছিলো। বাংলাদেশের ব্যাটারদের আর দু’একজন সৌম্যকে সাপোর্ট দিতে পারলে, স্কোরটা আরও অনেক বাড়তে পারতো।
যে কারণে, দেখা গেলো ২২ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছে নিউজিল্যান্ড। অনবদ্য একটি ইনিংস খেলেও বিজয়ী দলের ক্রিকেটার হতে পারলেন না সৌম্য সরকার।
ম্যাচ জিততে না পারুন, সৌম্য কিন্তু ম্যাচ সেরার পুরস্কার ঠিকই জিতে নিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৫ রান করেছিলেন হেনরি নিকোলস। ৮৯ রান করেন উইল ইয়ং। তবে তাদের এই দুটি ইনিংসে ম্যাচ জেতালেও ম্যাচ সেরা হওয়ার মত ছিল না। সৌম্যর ১৬৯ রানের কাছে সবই ম্লান। যে কারণে ম্যাচ সেরা হলেন সৌম্য সরকারই।
Advertisement
ম্যাচ সেরা হয়ে তিনি বলেন, ‘সেঞ্চুরি করতে পেরেছি, এ কারণে আমি খুশি। তবে, এরচেয়েও বেশি দুঃখ পেয়েছি হেরে যাওয়ার কারণে। যদি আমরা জিততে পারতাম, তাহলে সেটা হতে পারতো আরও বেশি স্পেশাল।’
পাওয়ার প্লেতে দ্রুত উইকেট হারানোকেই দায়ী করলেন সৌম্য। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি পাওয়ার প্লেতে দ্রুত তিনটি উইকেট হারিয়ে না ফেলতাম, তাহলে চিত্রটা ভিন্নরকম হতে পারতো। মিডল অর্ডারে দুটি জুটি গড়তে পারলেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে উইকেট হারিয়ে বসেছিলাম। তেমনটা না হলে আমাদের স্কোরটা আরও ভালো হতে পারতো।’
নিজের ব্যাটিং নিয়ে সৌম্য বলেন, ‘নেটে আমরা কঠোর অনুশীলন করেছি। আমি নিজে দীর্ঘসময় পর দলে এসেছি। যে কারণে ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে খুব বেশি কিছু চিন্তার সুযোগ ছিল না। শুধু ভেবেছি, বলগুলো দেখতে হবে এবং বাজে বল পেলে খেলতে হবে। নিজের খেলাটাই খেলতে চেয়েছি।’
আইএইচএস/
Advertisement