জাতীয়

স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শ ম রেজাউলের চিঠি

পিরোজপুর-১ (সদর-নাজিরপুর-ইন্দুরকানি) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম এ আউয়ালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নৌকার প্রার্থী শ ম রেজাউল করিম।

Advertisement

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) তিনি এ অভিযোগ জানান।

অভিযোগে তিনি লিখেছেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম এ আউয়ালের ভাই মুজিবুর রহমান খালেকের পুত্র তানভীর মুজিব অভির নেতৃতে প্রায় ৩০০ অস্ত্রধারী ক্যাডার গত ১৭ ডিসেম্বর আড়াইটায় পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা বাজারে আমার (শ ম রেজাউল করিম) নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। সিকদার মল্লিক ইউনিয়নে গিয়ে একইভাবে সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটায়। পরে আলামকাঠি নামক স্থানে আমার নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দেয়। আমার সমর্থকের একটি মোটরসাইকেল ভেঙে পুড়িয়ে ফেলে।’

‘সেখান থেকে শহরে গিয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্রসহ মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ সজলের কালিবাড়িস্থ অফিস এবং তার বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। নৌকা প্রতীকের সমর্থক জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে প্রকাশ্যে গুলি করে। জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সিকদার মো. চানের বাসা ঘেরাও করে আছে প্রায় ২০০ সশস্ত্র ক্যাডার। সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বাইজিদ হোসেনের আপন বোন মিতুর বলাকা রোডের বাসায় সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে শহরে মোটরসাইকেল নিয়ে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র উচিয়ে মহড়া দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব চালাচ্ছে। পিরোজপুর শহর থেকে সিকদার মল্লিকস্থ বাড়ি ফেরার পথে ডা. সিদ্ধার্থ মজুমদারের মোটরসাইকেল আটকে তানভীর মুজিব অভি জানতে চান তিনি কোথায় যাচ্ছেন। আমার নাজিরপুরস্থ বাড়িতে আসবে অনুমান করে একাধিকবার গুলি করে। সৌভাগ্যক্রমে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করলে তিনি অক্ষত থাকেন।’

‘বিষয়টি রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুর রহমান, পুলিশ সুপার শরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার শওকত হোসেন, বরিশারের ডিআইজি জামিল হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের টেলিফোনে অবহিত করেছি। পুলিশ সুপার ও অন্যান্য কর্মকর্তারা এই ঘটনা দেখেছেন। সারা শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে, ব্যবসারীরা ভীতসন্তস্ত্র হয়ে দোকানপাট বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। পুরো শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত। আমার সমর্থক ও কর্মীদের জীবন বিপন্ন প্রায়।’ অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘এরই মধ্যে সমর্থক ও কর্মীদের টেলিফোনে ও সরাসরি জীবনাশের হুমকি দিলে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ রিটার্নিং অফিসারকে লিখিতভাবে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।’ সেই অনুযায়ী অবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সিইসিকে চিঠিতে উল্লেখ করেন নৌকার প্রার্থী শ ম রেজাউল করিম।

আইএইচআর/ইএ/এমএস

Advertisement