চারপাশে নীল জলরাশি। সমুদ্রের মাঝে যে খাঁড়া দ্বীপ গড়ে উঠেছে তার উপরেই একাকি দাঁড়িয়ে সাদা রঙের বাড়ি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিঃসঙ্গ এই দ্বীপের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।
Advertisement
সমুদ্রের মাঝে বিচ্ছিন্ন এক দ্বীপ। সেই দ্বীপের উপর সাদা বাড়ি। বাড়ির দূর-দূরান্ত পর্যন্ত আর কোনো বাড়ি নেই। এমনকি মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও নেই।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে বড় গুহাটি কোথায়?
ছবির মতো সুন্দর এই বাড়ির মালিক কে এ নিয়ে প্রশ্ন নিশ্চয়ই আপনার মাথাতেও ঘুরপাক খাচ্ছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশ্বের সবচেয়ে নিঃসঙ্গ বাড়ির খুঁটিনাটি।
Advertisement
সমুদ্রের বুক চিরে যে খাঁড়া দ্বীপ গড়ে উঠেছে তার নাম এলিডে। এটি আইসল্যান্ডের দক্ষিণে অবস্থিত। এই এলিডে দ্বীপের মাঝেই একাকি দাঁড়িয়ে সাদা রঙের বাড়ি।
ভেস্টমানাইয়ার আর্কিপিলাগোর বিচ্ছিন্ন অংশ এলিডে দ্বীপ। আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে এই বিচ্ছিন্ন দ্বীপে মানুষের বাস ছিল। তবে মাত্র পাঁচটি পরিবারের বাস ছিল।
আরও পড়ুন: ছুটির দিনে ঘুরে আসুন ঐতিহাসিক পানাম সিটিতে
তারা চাষবাস, পশুপালন ও মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ১৯৩০ সালে এই সাদা বাড়ি তৈরি করেছিল এলিডে হানটিং অ্যাসোশিয়েশন।
Advertisement
তবে ১৯৫০ সালে এলিডে দ্বীপের শেষ পরিবারও এই অঞ্চল ছেড়ে চলে যায়। তারপর থেকেই সাদারঙা বাড়িটি নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে রয়।
দ্য সান এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বাড়ি একজন ধনকুবের তৈরি করেন। এখানে বাড়ি তৈরির কারণ ছিল, যদি কখনও আইসল্যান্ডে জম্বি হামলা করে, তাহলে তিনি নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে এই বাড়িতে এসে থাকবেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের যে ৮ দেশে গিয়ে স্থায়ী হতে পারবেন সহজেই
শুধু এই একটি গুঞ্জনই প্রচলিত নেই। আবার শোনা যায়, আইসল্যান্ডের প্রখ্যাত গায়ক বিয়র্ক এই বাড়িটির মালিক। আইসল্যান্ডের সরকারের মালিক তাকে এই বিচ্ছিন্ন এলিডে দ্বীপ উপহার দিয়েছিল।
আবার এটিও শোনা যায়, ওই বাড়িতে এক সময় একজন সাধু বাস করতেন। তবে এর মধ্যে কোনটি সত্যি তা আজও কেউ জানেন না।
আরও পড়ুন: কম খরচে দার্জিলিং ভ্রমণে কী করণীয়?
তবে এই এলিডে দ্বীপে পাফিন নামের এক ধরনের পাখিো বাস করে। এই পাখি শিকার করার জন্য এই বাড়ি বানানো হয়েছিল বলেই ধারণা বেশিরভাগ মানুষের।
এলিডে দ্বীপের এই বাড়িতে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। তবে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করায় এই দ্বীপ ও বাড়ি পর্যটকদের আকর্ষণ কেড়েছে।
সূত্র: টিভি ৯
জেএমএস/এমএস