খেলাধুলা

এবারও নায়ক সেই স্যামুয়েলস

২০১২ সালে শ্রীলংকার মাঠে স্বাগতিক শ্রীলংকার বিপক্ষে ফাইনালে রূপকথার নায়কের মতই আবির্ভাব ঘটেছিলো মারলন স্যামুয়েলসের। দলের সকল ব্যাটসম্যানরা যখন ব্যর্থতার মিছিলে, তখন এক স্যামুয়েলসই ছিলেন ব্যাতিক্রম। ক্যারিবিয়ানদের করা ১৩৭ রানের মধ্যে তিনি একাই করেছিলেন ৭৮ রান। তার সে ইনিংসের ওপর ভর করেই ৩৩ বছর পর আইসিসির কোনো বিশ্বকাপে শিরোপা জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।চার বছর পর আবার আরও একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে এবারও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মিছিল। আর সেখানে এবারও ব্যতিক্রম মারলন স্যামুয়েলস। শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি। এবারও ক্যারিবিয়ান রূপকথার রাজপুত্র হলেন তিনি। ৬৬ বলে খেলা ৯টি চার এবং ২টি ছক্কায় গড়া ইনিংসে আবারও উচ্ছ্বাসে ভাসালেন ক্যারিবিয়ানদের।অথচ এই ক্যারিবীয় তারকাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন বছর নিষিদ্ধ ছিলেন। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডারবানে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ‘সন্দেহজনক দ্রুতগতির বল’ এর কারণে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।২০১২ সালে একাই লড়েছিলেন স্যামুয়েলস। তবে এবার শেষ মুহূর্তে সঙ্গে পেয়েছেন ব্র্যাথওয়েটকে। এ অলরাউন্ডারের ঝড়েই নাটকীয় জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ওভারে টানা চার বলে চারটি ছক্কা মেরে বছরটি নিজেদের করে নেন তিনি। মাত্র ১০ বলে ৩৪ রান করেন এ অলরাউন্ডার।আরটি/আইএইচএস/এসকেডি

Advertisement