বিশ্বকাপেই তার ওপর নজর পড়েছিলো আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজিদের। বিশ্বকাপ আসরে দু’বার ভারতের মুখোমুখি হয়েছিলো নিউজিল্যান্ড। মোহাম্মদ শামি, জসপ্রিত বুমরাহ কিংবা মোহাম্মদ সিরাজদের বিপক্ষে পাহাড়সমান দৃঢ়তা দেখিয়ে দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেছিলেন ড্যারিল মিচেল।
Advertisement
গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ধর্মশালায় খেলেছিলেন ১৩০ রানের ইনিংস। এরপর প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়ে রোহিত শর্মাদের বিপক্ষে খেলেছিলেন ১৩৪ রানের অনবদ্য ইনিংস।
এমন এক ব্যাটারকে পেতে মরিয়ে হয়ে উঠেছিলো আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজিরা। যে কারণে আজ দুবাইতে নিলামে ড্যারিল মিচেলের নাম ওঠার পরই তাকে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ফ্রাঞ্চাইজিরা। শেষ পর্যন্ত ১৪ কোটি রুপিতে মিচেলকে কিনে নিতে সক্ষম হয় চেন্নাই সুপার কিংস।
মাত্র ১ কোটি রুপি ছিল তার ভিত্তিমূল্য। প্রথমে দিল্লি ক্যাপিটালস ঝাঁপিয়ে পড়ে মিচেলের জন্য। কিন্তু পাঞ্জাব কিংস মিচেলেকে কেনার লড়াইয়ে যোগ দেয়ার পর নিলাম হাউজ জমে ওঠে। দ্রুতই পাঞ্জাব কিংস ৩ কোটি পার করে দেয় মিচেলর দাম।
Advertisement
এ পর্যায়ে লড়াইয়ে যোগ দেয় রাজস্থান রয়্যালস। কিন্তু পাঞ্জাব এবং দিল্লিও কেউ কাউকে ছাড় দেয়নি। মুহূর্তে মিচেলের মূল্য ছাড়িয়ে যায় ৫ কোটি। পাঞ্জাব এই মূল্য দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দিল্লি দাম বাড়িয়ে দেয় ৬ কোটিতে। পাঞ্জাবও ছেড়ে দেয়ার পাত্র নয়। তারা হাঁকালো ৭ কোটি রুপি।
পাঞ্জাব এবং দিল্লিকেই খুব আগ্রহী মনে হচ্ছিলো মিচেলকে দলে নিতে। যে কারণে ৮ কোটি, ৮ কোটি ২০ লাখে পৌঁছে যায় মিচেলের মূল্য। এরপর পাঞ্জাব এক লাফে মিচেলের দাম বাড়িয়ে দেয় ৯ কোটি ৪০ লাখ রুপিতে।
এ পর্যায়ে দিল্লি কর্মকর্তাদের দেখা যায় গভীর আলাপে মগ্ন। হঠাৎ করেই তারা দাম তুলে দেয় ১০ কোটি রুপিতে। পাঞ্জাব ছেড়ে দিলো না। তারা হাঁকালো ১০ কোটি ২০ লাখ। পাঞ্জাব থেমে থাকলো না। ১০ কোটি ৫০ লাখ। দিল্লি হাঁকালো ১০ কোটি ৭৫ লাখ। পাঞ্জাব হাঁকিয়ে দিলো ১১ কোটি।
দিল্লি এবার একলাফে ১১ কোটি ৫০ লাখ হাঁকিয়ে বসলো। পাঞ্জাব এরপর দাম হাঁকাবে কী হাঁকাবে না সে চিন্তায় বিভোর। কারণ, তাদের ঝুলিতে আছে কেবল ১৭ কোটি ৩৫ লাখ রুপি। কিন্তু পাঞ্জাব থামলো না। তারা ১১ কোটি ৭৫ লাখ হাঁকালো দাম। এ পর্যায়ে এসে লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালো দিল্লি।
Advertisement
তাহলে ১১ কোটি ৭৫ লাখে মিচেলকে পেয়ে গেলো পাঞ্জাব? কিন্তু না, এ পর্যায়ে লড়াইয়ে প্রবেশ করলো চেন্নাই সুপার কিংস। এতক্ষণ তারা বসে বসে পাঞ্জাব-দিল্লির লড়াই দেখছিলো। দিল্লি সরে যাওয়ার পর তারা চলে আসে লড়াইয়ে এবং ১২ কোটি দাম হাঁকিয়ে বসে।
এরপর চেন্নাই এক লাফে দাম তুলে দেয় ১৩ কোটি ৭৫ লাখ। পাঞ্জাব কিংস নিজেদের মধ্যে আলোচনায় ব্যস্ত। আর সামনে আগাবে কি না তা নিয়ে। চেন্নাই সে সুযোগও দিলো না। এবার তারা প্যাডল তুলে বলে দিলো ১৪ কোটি। এখানেই থেমে গেলো মিচেলকে নিয়ে লড়াই। ১৪ কোটিতে বিক্রি হলেন তিনি চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে।
আইএইচএস/