টাঙ্গাইলের সখীপুরে তেলভর্তি ড্রাম রাখার গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে গোডাউনে রাখা পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন এবং মবিলভর্তি চার শতাধিক ড্রাম, তেলভর্তি দুটি তেলবাহী ট্রাক ও দুটি মোটরসাইকেল পুড়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
Advertisement
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় উপজেলার কচুয়া বাজার এলাকায় যমুনা অয়েলের সখীপুরের পরিবেশক শওকত হোসেনের গোডাউনে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সখীপুর, নলুয়া বিএএফ এবং বাসাইল ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্যবসায়ী শওকত হোসেন দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার কচুয়া বাজারের একটি দোকানে পেট্রোল, কেরোসিন, মবিল, ব্যাটারি ও ডিজেলের ব্যবসা করে আসছেন। এ কারণে তার বাসাবাড়িতে তেল বহনের দুটি লরি, ড্রামে করে তেল ও অন্যান্য মালামাল মজুত রাখেন। সোমবার সকালে হঠাৎ ওই বাড়িতে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। এসময় বাড়ির লোকজন দৌড়ে বাইরে চলে আসেন। আগুনের তীব্রতা বেড়ে তেলের ২০-২৫টি ড্রাম বিস্ফোরিত হয়। এসময় পুরো বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পাশের একটি বাসারও আংশিক পুড়ে গেছে।
গোডাউনের মালিক এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত সিকদার, জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শাহীনুর রহমান।
Advertisement
এ বিষয়ে জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গোডাউনের তেল ও মবিলভর্তি চার শতাধিক ড্রাম ও চার হাজার লিটার তেলভর্তি দুটি ট্রাক, দুটি মোটরসাইকেল এবং গোডাউন পুড়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, শর্টসার্কিট অথবা শ্রমিকদের বিড়ি-সিগারেটের ফেলে দেওয়া আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।
আরিফ উর রহমান টগর/এসআর/জেআইএম
Advertisement