সাহিত্য

২০২৩ সালে যাদের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি

দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কারের মধ্যে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার অন্যতম। ফলে কবি-সাহিত্যিক-পাঠকদের মধ্যে এ পুরস্কার নিয়ে আগ্রহ অনেক বেশি। প্রতি বছর বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার কারা পাচ্ছেন, এ নিয়ে জল্পনা–কল্পনা শুরু হয় আগে থেকেই। এমনকি পুরস্কার ঘোষণার পরও আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে।

Advertisement

জানা যায়, ২০২৩ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হবে ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বইমেলার উদ্বোধনী মঞ্চে। আর এটি ঘোষণা হওয়ার কথা ২৫ জানুয়ারির আগেই। এরই মধ্যে পুরস্কার নিয়ে সাহিত্যপাড়ায় জোর আলোচনা হচ্ছে। মনোনয়নদাতাদের নাম গোপন থাকলেও কাদের নামে মনোনয়ন যেতে পারে, তা নিয়ে চর্চা হচ্ছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এবছর বিভিন্ন শাখায় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নাম উঠে এসেছে। তারই ধারাবাহিকতায় কবিতায় উঠে এসেছে মিনার মনসুর, হারিসুল হক, মজিবুল হক কবির, মাহমুদ কামাল, দুখু বাঙাল, ফরিদ কবির, গোলাম কিবরিয়া পিনু ও মাসুদ পথিকের নাম।

কথাসাহিত্যে নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর, আকিমুন রহমান, আহমাদ মোস্তফা কামাল, ইসহাক খান, প্রশান্ত মৃধা, দিলারা মেজবাহর নাম শোনা যাচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: এখানে কয়েকটি জীবন: যে গল্প হৃদয়ে নাড়া দেয় 

প্রবন্ধ বা গবেষণায় গাজী আজিজুর রহমান, ড. শিরীণ আখতার, ড. আহমেদ মাওলা, রাহেল রাজিব, ভীষ্মদেব চৌধুরী এবং মজিদ মাহমুদের নাম উঠে এসেছে।

অনুবাদে সফিকুননবী সামাদী, জি এইচ হাবিব, রাজু আলাউদ্দিনের নাম শোনা যাচ্ছে।

নাটকে নিরঞ্জন অধিকারী, অনন্ত হীরা, শুভাশীষ সিনহা, রুবাইয়াৎ আহমেদ আলোচনায় রয়েছেন।

Advertisement

শিশুসাহিত্যে এগিয়ে আছেন তপংকর চক্রবর্তী, সারওয়ার-উল-ইসলাম, রোমেন রায়হান, ফারুক হোসেন, সাইদুজ্জামান রওশন ও হুমায়ূন কবির ঢালী।

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় সিরু বাঙালি, জয়দুল হোসেন, মোহাম্মদ হাননান, সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, রঞ্জনা বিশ্বাস এবং দীপঙ্কর মোহান্ত পেতে পারেন।

বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণায় পেতে পারেন ড. জালাল ফিরোজ, অধ্যাপক আতিউর রহমান এবং অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস।

বিজ্ঞান বা কল্পবিজ্ঞান বা পরিবেশ বিজ্ঞানে মৃত্যুঞ্জয় রায়, দিপেন ভট্টাচার্য ও কমলেশ রায় পেতে পারেন।

আরও পড়ুন: আমিনুল ইসলামের কবিতায় বিবেকের প্রকাশ 

আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথা বা ভ্রমণকাহিনিতে জয়ন্তী রায়, আশির আহমেদ, বুলবুল সরওয়ার, হানিফ সংকেত এবং ফখরুজ্জামান চৌধুরীর সম্ভাবনা রয়েছে।

ফোকলোরে ড. তপন বাগচী, মোস্তফা সেলিম এবং সুমনকুমার দাশের নাম শোনা যাচ্ছে।

সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত যাদের নাম আলোচনায় এসেছে; তারা প্রত্যেকেই পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি বিভাগে একজন বা দুজন করে পাবেন পুরস্কার। ফলে অন্যদের আশাহত হতে হবে। এটাই স্বাভাবিক। তবে পরে যে তারা পাবেন না, এমনটি নিশ্চিত করে বলা যায় না।

আবার এ আলোচনার বাইরেও অনেকে আছেন, যারা বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। ফলে আলোচনার বাইরে থেকেও যে কেউ পুরস্কার পেয়ে যেতে পারেন। তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যারা এ বছর পাবেন না, তারা অবশ্যই পরবর্তী বছরের জন্য অপেক্ষা করবেন।

এসইউ/জিকেএস