৪৩তম বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে একসঙ্গে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ক্যাডার পদের ফল প্রস্তুতের কাজ চলছে। পাশাপাশি নন-ক্যাডারে শূন্যপদ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে যারা নন-ক্যাডারে চাকরি করতে চান, শূন্যপদে তাদের পছন্দক্রম (চয়েজ) নিচ্ছে পিএসসি।
Advertisement
তবে অল্পসংখ্যক পদে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় তা বাতিলের দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। তারা পদ আরও বাড়িয়ে ৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডারের পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানাচ্ছেন। এ দাবিতে দুদিন পিএসসির সামনে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি করেছেন প্রার্থীরা। পিএসসি চেয়ারম্যানকে লিখিত আবেদনও দিয়েছেন।
প্রার্থীদের এসব দাবি উপেক্ষা করেই রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনলাইনে নন-ক্যাডারে শূন্যপদের বিপরীতে পছন্দক্রমের আবেদন নেওয়া শুরু করেছে পিএসসি। এ প্রক্রিয়া চলবে ১৯ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
৪৩তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে ১ হাজার ৩৪২টি শূন্যপদে নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পিএসসি। পদগুলোর মধ্যে নবম গ্রেডের ১৯৬টি, দশম গ্রেডের ৮৬১টি, ১১তম গ্রেডের ৬টি এবং ১২তম গ্রেডের ২৭৯টি।
Advertisement
এদিকে, রোববার বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসির সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন প্রার্থীরা। পরে সেখানে আসেন পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস ও পিএসসি চেয়ারম্যানের একজন ব্যক্তিগত সহকারী।
তারা আন্দোলনরত প্রার্থীদের জানান, শূন্যপদের সংখ্যা বাড়ানো-কমানোর বিষয়ে তাদের (পিএসসি) কিছু করার নেই। কত পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে, সেটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পিএসসিকে ঠিক করে দেয়। এজন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রার্থীদের দাবি জানানোর পরামর্শ দেন পিএসসি কর্মকর্তারা।
আন্দোলনরত প্রার্থীরা বলছেন, নন-ক্যাডারে পদ কমানোয় বিসিএসের দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষ করে পাস করার পরও তাদের চাকরিবঞ্চিত হতে হবে। বেকার হয়ে ঘুরতে হবে। ৪১তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে পদ ছিল ৪ হাজার ৫৩টি। সেখানে এবার (৪৩তম বিসিএস) পদ মাত্র ১ হাজার ৩৪২টি। তাদের সঙ্গে চরম বৈষম্য করছে পিএসসি।
২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২২ সালের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করে পিএসসি। গত ২০ আগস্ট লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৪১ জন।
Advertisement
৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এরমধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সে ১৯ এবং কাস্টমসে নিয়োগ দেওয়া হবে ১৪ জনকে।
এএএইচ/এমএইচআর