মেহেরপুর-২ আসনে দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। পরে এ নিয়ে সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার একপর্যায়ে কেঁদে ফেলেন তিনি।
Advertisement
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘আজীবন দলের বিরুদ্ধে কখনো যাইনি। বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী আমার সঙ্গে ছিলেন এবং আছেন। কিন্তু দলের বিরুদ্ধে যাবো না বলেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছি।’ একথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। মোখলেছুর রহমান মুকুল বলেন, ‘জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে ৪৬টি বছর ধরে আমি রাজনীতি করে আসছি। আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছুই নেই। বাকি জীবনটা আপনাদের (কর্মীদের) সঙ্গে যেন থাকতে পারি সেই দোয়া করবেন সবাই।’
কর্মীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী বাংলাদেশ গড়ার যে মিশন তা সামনে রেখেই আমি রাজনীতি করি। উপজেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমি কর্মীদের পাশে থাকবো।’ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান এমপি, সাবেক এমপি এবং মোখলেছুর রহমান মুকুলসহ প্রায় এক ডজন প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তাদের সবাইকে টপকিয়ে মেহেরপুর-২ আসনে প্রয়াত নুরুল হকের ছেলে ডা. আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক দলীয় মনোনয়ন পান।
রাজনীতিতে নতুন মুখ হিসেবে ডা. সাগর মনোনয়ন পাওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। ফলে আওয়ামী লীগের সাতজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরমধ্যে চারজনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। আজ প্রত্যাহারের শেষ দিনে মোখলেছুর রহমান মুকুল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন।
Advertisement
আসিফ ইকবাল/এসআর/এএসএম