প্রায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের ফলে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড প্রদেশে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যটির উত্তরাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশের পাশাপাশি কিছু কিছু অঞ্চলে সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তবে এ দুর্যোগে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
Advertisement
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কুইন্সল্যান্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় জ্যাসপারের কারণে টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর ওই বৃষ্টিপাত থেকে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, সেতু সব ডুবে গেছে। এমনকি, পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, স্থানীয় বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, রাজ্যটির নিচু এলাকায় বসবাসকারীদের এরই মধ্যে নিরাপদস্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে কুইন্সল্যান্ডে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় জ্যাসপার।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস ব্যারন নদী, ডেনট্রি, হার্বাট, জনস্টন, মূলগ্রেভ, টুলি ও মারে নদীর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জন্য বড়ো ধরনের বন্যা সতর্কতা জারি করেছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে আথারটন টেবিলল্যান্ডস অঞ্চল থেকে উপকূলের দিকে আরও বেশি পানি প্রবাহিত হওয়ায় এসব নদীর পানি আশঙ্কাজনকভাবে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Advertisement
অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া বিভাগ বলছে, কুইন্সল্যান্ডের বেশিকিছু এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) একই রকম বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পানির স্তরের উচ্চতা ১৯৭০ সালের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।
কুইন্সল্যান্ডের রাজ্যপ্রধান স্টিভেন মাইলস বলেছেন, পরিস্থিতি খুবই গুরুতর ও আরও খারাপ হতে পারে। ১০ হাজার ৫০০ মানুষ বন্যার কারণে চরম বিপদে পড়েছে। তবে বন্যায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি কয়েক বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে আবহাওয়ার এল নিনো পরিস্থিতির কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াবাসীকে।
সূত্র: বিবিসি
Advertisement
এসএএইচ