অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘হোয়াইট রিবন ডে’। হোয়াইট রিবন অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন করতে এ দিবস পালন করা হয়।
Advertisement
অনুষ্ঠানে মূল আলোচক মাল্টিকালচারাল সমাজকর্মী রোজানা হাসান বলেন, মানসিক, শারীরিক, অর্থনৈতিক ও যৌন নির্যাতন ছাড়াও পিতামাতার ওপর সন্তানের নির্যাতন সমাজে বিদ্যমান।
হোয়াইট রিবন অ্যাম্বাসেডর কার্ল সালেহ বলেন, শিশু ও নারীর সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য হোয়াইট রিবন কাজ করে যাচ্ছে নিরলসভাবে।
হোয়াইট রিবন অ্যাম্বাসেডর আজাদ খোকন বলেন, নির্যাতন প্রতিরোধক ব্যবস্থা হলো- প্রতিটি ব্যক্তি যদি তার নিজ পরিবার ও প্রতিবেশীকে দেখাশোনা করে; তবেই নির্যাতনের হার কমিয়ে আনা সম্ভব।
Advertisement
সংগঠনটির অ্যাম্বাসেডর আবুল কালাম আজাদ খোকন প্রতি বছর এই সেমিনারের আয়োজন করে থাকেন, যার ধারাবাহিকতায় এটা ছিল ১৫তম অনুষ্ঠান। তিনি বাংলাদেশি কমিউনিটিতে একমাত্র হোয়াইট রিবন অস্ট্রেলিয়া অ্যাম্বাসেডর। নির্যাতন সহিংসতা প্রতিরোধ করার জন্যই তিনি নিরলসভাবে কাজ করছেন বহু বছর ধরে।
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে গণসচেতনতা গড়ে তুলতে দেশটির বৃহৎ সংগঠন হোয়াইট রিবন অস্ট্রেলিয়া সর্বাধিক কাজ করে।
অস্ট্রেলিয়াতে হোয়াইট রিবন প্রচারণা শুরু হয়েছিল ১৯৯১ সালে নভেম্বর মাসে। হোয়াইট রিবন ক্যাম্পেইন প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল কফম্যান, জ্যাক লেটোনন্ড এবং রন স্লুসার। দেশটিতে ২৬শে জুলাই হোয়াইট রিবন নাইটস এবং ২৫শে নভেম্বর হোয়াইট রিবন ডে পালন করা হয়।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কাবেরী নাজমুন কথাকলি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক ডেপুটি মেয়র ও কাউন্সিলর কার্ল সালেহ ও মাল্টিকালচারাল সমাজকর্মী রোজানা হাসান। ডিনার শেষে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
Advertisement
এমআরএম/এএসএম