ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাতে ১৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ১৮ হাজার ৭৮৭ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। সেখানে আহত হয়েছে আরও ৫০ হাজার ৮৯৭ জন।
Advertisement
অপরদিকে পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছে ২৯৭ জন এবং আহত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৩৬৫ জন। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। সে সময় ১ হাজার ১৩৯ ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়। আহত হয়েছে আরও ৮ হাজার ৭৩০ জন।
আরও পড়ুন: রক্তগঙ্গায় পরিণত হয়েছে আল শিফা হাসপাতাল
এদিকে অবরুদ্ধ গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও প্রায় ১০০ জন। এর আগেও ওই শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
Advertisement
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আশেপাশের বেশ কিছু বাড়ি-ঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, জাবালিয়ার একটি মেডিকেল ভবনে হামলার ঘটনায় নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশুও রয়েছে।
আহতদের মধ্যে অনেকেই মেঝেতে পড়ে ছিলেন। তাদের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসাসেবা প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ১১টিতে এখন কোনো রকমে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
অপরদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত আল শিফা হাসপাতাল রক্তগঙ্গায় পরিণত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ওই হাসপাতালে জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসা সামগ্রী প্রয়োজন। সংস্থাটি বলছে, তারা গত শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) আল শিফা হাসপাতালে সামান্য কিছু চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু সেখানে খাবার এবং পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজার অনেক লোকজনই এখন আল শিফা হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন। ফলে সেখানকার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চাহিদা আরও বেড়ে গেছে।
Advertisement
আরও পড়ুন: জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ২০ ফিলিস্তিনি নিহত
প্রতিদিনই সেখানে প্রচুর রোগী চিকিৎসার জন্য ভিড় করছে। আহত লোকজন মেঝেতে বসে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু তাদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সেখানে নেই।
টিটিএন