প্রবাস

নানা আয়োজনে গ্রিসে বিজয় দিবস উদযাপন

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে গ্রিসে উদযাপিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। ১৬ ডিসেম্বর দিনব্যাপী এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি উদযাপন করা হয়।

Advertisement

সকালে গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা হয়।

এ সময় গ্রিসে বসবাসকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী এবং আঞ্চলিক সংগঠনের নেতা, নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোর এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজয় দিবস উপলক্ষে এদিন দূতাবাস প্রাঙ্গণে ‘নতুন প্রজন্মের বিজয় উদযাপন: প্রত্যয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অংশগ্রহণকারী প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু-কিশোর ও তাদের পরিবার ও সাধারণ প্রবাসীদের উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গণ এক উৎসবমুখর মিলনমেলায় পরিণত হয়।

Advertisement

বিজয়ের উদযাপনে রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাস পরিবার ও প্রবাসীদের বিভিন্ন সংগঠন দূতাবাস প্রাঙ্গণে স্থাপিত বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও গীতা থেকে পাঠ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাৎবরণকারী ত্রিশ লাখ শহীদ বীর সেনানীদের স্মরনে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয়।

মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের ওপর বিশেষ আলোচনা পর্বে অংশ নেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আঞ্চলিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা। বক্তারা মহান বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে সরকারের চলমান উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আত্মনিয়োগের প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমদ বক্তব্যের শুরুতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনন্য নেতৃত্ব এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি প্রবাসীদের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানান। এ সময় তিনি আত্মমর্যাদাশীল স্বনির্ভর বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে এবং দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুতকরণে প্রবাসীদের বিশেষ ভূমিকা পালনে উৎসাহিত করেন।

Advertisement

আলোচনা শেষে রাষ্ট্রদূত বিজয় দিবসের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সবশেষে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।

এমআরএম/জিকেএস