আন্তর্জাতিক

পিএমও কর্মকর্তা পরিচয়ে ৬ নারীকে বিয়ে, প্রতারক গ্রেফতার

কখনো তিনি নিউরোসার্জন, কখনো চিকিৎসক, কখনো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) কর্মকর্তা, কখনো আবার জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সহযোগী। আসলে তিনি কে? সেটি এখনো নিশ্চিত না হলেও ওই ব্যক্তি যে একজন প্রতারক, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

Advertisement

কারণ, এতগুলো পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানে অন্তত ছয়জন নারীকে বিয়ে করেছিলেন ওই ব্যক্তি। এর বাইরে আরও কয়েকজন নারীর সঙ্গে গড়ে তুলেছিলেন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এমনই এক দুর্ধর্ষ প্রতারককে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে ভারতের পুলিশ।

আরও পড়ুন>> সরকারি চাকরি পাওয়া যুবককে তুলে নিয়ে মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিলেন বাবা

এনডিটিভির খবরে জানা যায়, ৩৭ বছর বয়সী সায়াদ ইশান বুখারি ওরফে ইশান বুখারি ওরফে ডা. ইশান বুখারিকে গত শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) উড়িষ্যার জয়পুর জেলার নেউলপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে ওড়িশা পুলিশ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)।

Advertisement

অভিযুক্ত ব্যক্তি একাধিক ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিলেন। পাকিস্তানের বিভিন্ন ব্যক্তি এবং কেরালায় সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তার সংযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

তবে এসটিএফ ইন্সপেক্টর জেনারেল জে এন পঙ্কজ বলেছেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সঙ্গে ওই ব্যক্তির যোগসূত্র খুঁজে পায়নি ভারতীয় পুলিশ।

আরও পড়ুন>> লুকিয়ে তিন বিয়ে/ স্বামীকে শায়েস্তা করতে একসঙ্গে হাজির দুই ‘বউ’

জানা যায়, কথিত ইশান বুখারি যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত কর্নেল ইউনিভার্সিটির একটি জাল মেডিকেল সার্টিফিকেট তৈরি করেছিলেন। ডাক্তার হিসেবে নিজের পরিচয় নির্ভুল প্রমাণ করতে কানাডিয়ান হেলথ সার্ভিসেস ইনস্টিটিউট এবং তামিলনাড়ুর খ্রিস্টান মেডিকেল কলেজের জাল সনদও জোগাড় করেছিলেন এই প্রতারক।

Advertisement

পরিচয় বদলে লোক ঠকাতে আন্তর্জাতিক ডিগ্রির পাশাপাশি বিভিন্ন হলফনামা, বন্ড, এটিএম কার্ড, ব্ল্যাংক চেক, আধার কার্ড এবং ভিজিটিং কার্ডও ব্যবহার করতেন ওই ব্যক্তি। অভিযান চালিয়ে তার কাছ থেকে ১০০টির বেশি নথি এবং বেশ কয়েকটি ‘অপরাধমূলক বস্তু’ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন>> ২৬ মামলা জিতেছেন যে ভুয়া আইনজীবী

এসটিএফ কর্মকর্তা পঙ্কজ জানান, বহুরূপী লোকটি পরিচয় বদলে উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উড়িষ্যা, কাশ্মীরসহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের অন্তত ছয়জন নারীকে বিয়ে করেছিলেন এবং আরও কয়েকজন নারীর সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন।

তিনি জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে রাষ্ট্রবিরোধী বিষয়বস্তুর যোগসূত্র রয়েছে। তবে তার আসল উদ্দেশ্য জানতে বিশদ তদন্ত প্রয়োজন। ওই ব্যক্তি পাকিস্তানি গুপ্তচর হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না এ কর্মকর্তা।

কেএএ/