বছরজুড়ে বিভিন্ন শ্রেণীর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এসব পরীক্ষায় অনেক ছাত্র-ছাত্রী ভয়-আতংকে ঘাবড়িয়ে যায়। আর ঘাবড়ানোটাই স্বাভাবিক। এ সময় চিন্তাগ্রস্ত না হয়ে মহান আল্লাহর প্রতি ভরসা করাই অতি উত্তম কাজ। কারণ আল্লাহ তাআলা উত্তম সাহায্যকারী। পরীক্ষার সময় ও পরীক্ষার হলে ছাত্র-ছাত্রীদের করণীয় ও কয়েকটি দোয়া তুলে ধর হলো-
Advertisement
করণীয়-ক. পরীক্ষার পূর্বে অতিরিক্ত চিন্তা না করা।খ. নির্ঘুম রাত কাটানো থেকে বিরত থাকা।গ. খাবার-দাবারে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করা।ঘ. আরামদায়ক পোশাক পরিধান করা।ঙ. পরিক্ষার হলে রওয়ানা হওয়ার পূর্বে অ্যাডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশন কার্ডসহ পরীক্ষার সরঞ্জামসমূহ গুছিয়ে নেয়া।চ. পরীক্ষার কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের কিছু পূর্বে এসে ফ্রেশ (পরিচ্ছন্ন) হয়ে নেয়া।ছ. পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশের পূর্বে ওজুর সহিত প্রবেশ করা।
পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশের পর দোয়া-ক. দরূদে ইবরাহিম পড়া।
খ. স্মরণ শক্তির দোয়া পড়া-
Advertisement
উচ্চারণ : রাব্বি ঝিদনি ইলমা (৩ বার)
গ. চিন্তা ও অস্থিরতা মুক্ত থাকার দোয়া-
উচ্চারণ : লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম (৩ বার)
ঘ. প্রশ্নপত্র সহজ হওয়ার দোয়া-
Advertisement
উচ্চারণ : রাব্বিশ-রাহলি ছাদরি ওয়া ইয়াসসিরলি আমরি ওয়াহলুল ওক্বদাতাম মিল্লিসানি ইয়াফকাহু ক্বাওলি।
অতপর পরীক্ষার খাতা হাতে পেয়ে ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বানির রাঝিম ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়ে খুব খেয়াল করে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড, প্রশ্নপত্রের সেট কোডসহ যাবতীয় তথ্য সুন্দর করে (বৃত্ত ভরাট) পূরণ করা।
তারপর ঘণ্টা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর নামে ঠাণ্ডা মাথায় প্রথমে ভালো জানা প্রশ্নগুলো উত্তর পত্রের দিতে শুরু করা।
আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে এ নিয়মগুলো মেনে ভালো পরীক্ষা দেয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর