জাতীয়

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে থাকতে পারলে পথ হারাবো না: নৌ প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে থাকতে পারলে পথ হারাবো না। শিক্ষার আলো দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।

Advertisement

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ঢাকায় বিআইডব্লিউটিএ অফিসে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশকে একটি মর্যাদার স্থানে নিয়ে গেছেন, সেই মর্যাদার স্থান ধরে রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আরও এগিয়ে যাবো। ১৯৭১ সালে সাম্রাজ্যবাদীরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়েছিল। এখন উন্নয়নের বিরুদ্ধেও তারা বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে। আমরা বিজয়ী জাতি। আমরা কারো মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে পারি না। যখন আমরা মুখাপেক্ষী ছিলাম তখন এগোতে পারিনি। ইউএসএ, জাতিসংঘ, পশ্চিমারা আমাদের নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছে-এটা ভালো লাগে, গর্ব করার বিষয়।

বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিজয়ের মহানায়কের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা ও বিজয়ের শক্তি এবং সাহসের নাম। বঙ্গবন্ধু ছাড়া আমরা স্বাধীনতা বিজয় পেতাম না। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুখ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন। স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা ও বিজয়কে অন্ধকারে পাঠিয়ে দিয়েছিল। জেনারেলদের শাসন চলছিল। আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পাইনি। স্বাধীনতা ও বিজয়কে মূল্যহীন করে রেখেছিলেন।

Advertisement

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এ কে এম মতিউর রহমান। এছাড়া অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এনএস/এমএএইচ/এএসএম

Advertisement