কৃষি ও প্রকৃতি

জয়পুরহাটে পানিফলে লাভবান চাষিরা

সারাবছর পানি জমে থাকায় বসত-বাড়ি ও সড়কের পাশের নিচু জমিতে তেমন কোনো ফসল হয় না। এসব পানি জমে থাকা জমিগুলোই কাজে লাগিয়েছেন জয়পুরহাটের কয়েকটি গ্রামের কৃষক। নিজ মেধা ও উদ্যোগে এসব জমিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন পানিফল। এ ফল চাষে খরচও একেবারে কম। প্রথমে অল্প কিছু জমিতে শুরু হলেও লাভ বেশি হওয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে চাষ।

Advertisement

সরেজমিনে জানা যায়, বাণিজ্যিকভাবে পানিফল চাষ করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন জয়পুরহাটের চাষিরা। বিঘাপ্রতি মাত্র ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা খরচ করে পানিফল বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। খরচ কম হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকে পড়েছেন এ ফল চাষে। সরকারিভাবে সহায়তা পেলে এ চাষ বাড়বে বলে মনে করছেন চাষিরা।

আরও পড়ুন: কমলা চাষে দ্বিগুণ লাভের স্বপ্ন দেখছেন ফারুক

সদর উপজেলার গতনশহর এলাকার চাষি কাশিনাত বলেন, ‘পানিফল খুব লাভজনক একটি ফসল। এটি চাষে কীটনাশক ও শ্রমিকসহ খরচ পড়ে সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা। নিজেই যদি কাজ করি তাহলে ১৩০০ থেকে ১৭০০ টাকা খরচ পড়ে। ফলন ভালো হলে এক বিঘায় ৪০ মণ পর্যন্ত ফল উৎপাদন হয়।’

Advertisement

একই এলাকার সামসুল আলম বলেন, ‘এ ফলের রোগবালাই নেই। দু’একবার কীটনাশক দিতে হয়। এজন্য খরচ অনেক কম। এবার বিঘাপ্রতি ৩০-৩৫ মণের বেশি ফলন হয়েছে। মণপ্রতি দাম পেয়েছি ৪০০ থেকে ১১০০ টাকা। এতে বিঘাপ্রতি ৩০-৩৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। নিচু জমিতে পানি জমে থাকায় এ ফল চাষ করেছি।’

আরও পড়ুন: চায়না কমলা চাষে সফল শরীয়তপুরের খলিল

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রাহেলা পারভীন বলেন, ‘জেলায় এবার প্রায় ১০ বিঘা জমিতে পানিফলের চাষ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ। পুষ্টিগুণে ভরপুর এ ফলের বাজারেও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। তাই পতিত জমি ফেলে না রেখে পানিফল চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

এসইউ/এমএস

Advertisement