দেশজুড়ে

ছুটিতে প্রাণ ফিরেছে বান্দরবানে

দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন, বন্যা ও রাজনৈতিক সমস্যার কারণে অনেকটা পর্যটকশূন্য ছিল বান্দরবান। তবে টানা দুদিনের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া মিলেছে।

Advertisement

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নীলাচল, মেঘলা পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এতথ্য জানা যায়। তারা জানান, সাপ্তাহিক ছুটি ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া মিলেছে। এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আগের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কক্সবাজার থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক মাইমুনা মেহজাবিন মারজু বলেন, তাদের জেলা কক্সবাজার। কাছ থেকে সাগর দেখলেও এবার পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছি। মনোমুগ্ধকর এ সৌন্দর্য না দেখলে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

হোটেল গার্ডেন সিটির মালিক জাফর উল্লাহ জানান, দীর্ঘদিন গ্রাহক শূন্যতার পর আজ তার হোটেলে ৭০ শতাংশ কক্ষ বুকিং রয়েছে। পর্যটক আগমনের এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আগের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি।

Advertisement

মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রের টিকিট কাউন্টার সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে প্রায় ৯০০ ভ্রমণকারী এ পর্যটনকেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন।

বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার ভ্রমণকারী নীলাচল পর্যটনকেন্দ্র ঘুরতে এসেছেন বলে জানান নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা সুমি ত্রিপুরা।

বান্দরবান জিপ-মাইক্রোবাস মালিক সমিতির কাউন্টারের দ্বায়িত্বে থাকা কামাল হোসেন জানান, সকাল থেকে প্রতি গাড়িতে ১৩ জন হিসেবে দেড়শটিরও বেশি পর্যটকবাহী গাড়ি বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটন স্পটের উদ্দেশ্যে স্টেশন ছেড়ে গেছে।

বান্দরবান টুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার আইচ বলেন, দীর্ঘদিন পর বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।

Advertisement

মেঘলা-নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার বিশ্বাস জানান, মেঘলা ও নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রে সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।

নয়ন চক্রবর্তী/এসআর/এএসএম