ক্যাম্পাস

নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে: ঢাবি উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তরুণ প্রজন্মকে ভূমিকা রাখতে হবে। এজন্য নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে।

Advertisement

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার, মুক্তিযোদ্ধা প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিট কমান্ডের পক্ষে অধ্যাপক আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়ন এবং শহীদ পরিবার কল্যাণ সমিতির নেতারা বক্তব্য দেন। রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

বঙ্গবন্ধু ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে উপাচার্য বলেন, এদেশের বুদ্ধিজীবীরা পাকিস্তানি বাহিনীর সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রতা ও বর্বর গণহত্যার চিত্র বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছিলেন। তারা সব অন্যায়, অপকর্ম ও বৈষম্যের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তাদের কণ্ঠরোধ ও ইতিহাস বিকৃতি, জাতিকে মেধাশূন্য ও পরাধীন করতেই পরিকল্পিতভাবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়।

Advertisement

নতুন প্রজন্মের মধ্যে ইতিহাস সচেতনতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী চক্র এখনো সক্রিয়। পেছনের রাস্তা দিয়ে অগণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় আসতে চায় তারা। এদের প্রতিহত করে দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধীদের সম্পর্কে সর্বদা সজাগ থাকার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।

দিবসটি উপলক্ষে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত কবরস্থান, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণের স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধ এবং মিরপুর ও রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও উপাসনালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়।

আল সাদী ভূঁইয়া/এমএএইচ/এএসএম

Advertisement