জাতীয়

‘বইয়ে পড়েছি, পাক বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে’

রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এসেছেন রাকিব আহমেদ। স্ত্রী ও ছয় বছরের শিশুকে নিয়ে এসেছেন সঙ্গে। উদ্দেশ্য, শিশু আবরার আহমেদ যেন মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে।

Advertisement

আবরার ছাড়াও বাবা-মায়ের হাত ধরে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যানারে এসেছে অনেক শিশু। শিশুদের হাতে দেখা যায়, প্লাস্টিকের পাইপে মোড়ানো পতাকা। কপালে বিজয় দিবস লেখা ব্যাজ। কারও হাতে ছিল পতাকা, কারও হাতে ছিল ফুল।

মিরপুর লালকুঠির নজরুল একাডেমির শিক্ষার্থী নিয়াজ ও মানহা জানালো, তাদের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এসে খুব ভালো লাগছে। আগের বছরও এখানে এসেছিল তারা। স্কুলের শিক্ষররা নিয়ে আসেন।

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মানহা জানায়, আজ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে দেশের সেরা ডাক্তার-লেখকসহ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে পাক হানাদার বাহিনী। স্কুলের শিক্ষকরা আমাদের বলেছেন, বইয়েও পড়েছি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাগো নিউজের এ প্রতিবেদককে রাকিব আহমেদ বলেন, আমি বেসরকারি চাকরিজীবী। ছুটির দিন ছাড়া বাচ্চাকে সময় দেওয়া হয় না। জাতীয় দিবসগুলোতে ছেলেকে নিয়ে বের হই।

তিনি বলেন, দিবসগুলোতে শিশুদের নিয়ে আসার কারণ পরবর্তী প্রজন্ম যেন মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে। মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের জন্য করার কিছু নেই, কিন্তু শ্রদ্ধা জানাতে পারি।

এদিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করছে দেশের সর্বস্তরের মানুষ। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন মিরপুরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে। এদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। তারা ফুল দিয়ে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

জাহানাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আশিকুল ইসলামকে শরীরে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে দেখা যায়।

Advertisement

আশিকুল বলে, ১৪ ডিসেম্বর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমি এখানে আসি। এবার বাবার সঙ্গে এসেছি। এখানে এলে কিছুটা মন খারাপ হয়। শহীদরা আমাদের জন্য নিজের জীবন বিসর্জন করেছেন। বুদ্ধিজীবীদের এই আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা এই দেশ পেয়েছি।

এর আগে সকাল ৭টায় মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়।

এসএম/বিএ/এএসএম