হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পাল। আগে বিপুল সম্পদের মালিক হলেও গত ১০ বছরে ঋণের দায়ে জর্জরিত তিনি। সব সম্পদের চেয়েও ছয় কোটি টাকা বেশি ঋণ তার।
Advertisement
আগে স্ত্রী-সন্তানদের আয়, নগদ টাকা থাকলেও এবার তাদের কিছুই নেই। ২০১৪ সালের নির্বাচনে সোনার ভরি দেখানো হয়েছিল পাঁচ হাজার টাকা। এবার তার দাম কমে হয়েছে দুই হাজার টাকা। কমেছে সোনার পরিমাণও। ২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে লড়তে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া তার হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
২০১৪ সালের নির্বাচনের হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তখন শংকর পালের বার্ষিক আয় ছিল ২৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এরমধ্যে কৃষিখাতে তিন হাজার, মোবাইল টাওয়ার ভাড়া ৯২ হাজার ৪০০ ও ব্যবসা থেকে ২৮ লাখ ৩৪ হাজার ৬০০ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি ১১ লাখ ৫১ হাজার ৪৩৮ টাকার। এরমধ্যে নগদ এক লাখ ৫০ হাজার, ব্যাংকে জমা ছয় লাখ ৪১ হাজার ৪৩৮ টাকা, দুটি গাড়ির মূল্য দুই লাখ ৮০ হাজার, ছয় ভরি সোনা (মূল্য ৩০ হাজার), ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৪০ হাজারর ও ১০ হাজার টাকার আসবাবপত্র।
স্থাবর সম্পত্তি ছিল এক কোটি ৪৯ লাখ ৮০ হাজার ৭ টাকার। যারমধ্যে জমি ১০ হাজার টাকা, রাইস মিল দুই লাখ, বিসিক শিল্প এলাকায় স্থাপনা ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৫৭ টাকা, নির্মাণাধীন মার্কেট ৫০ লাখ ও বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট ৮২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৫০ টাকার। ওইবছর তার কোনো ঋণ ছিল না। স্ত্রীর বার্ষিক আয় ছিল ছয় লাখ টাকা। এরমধ্যে পুরোটাই ব্যবসা থেকে। নগদ ছিল চার লাখ টাকা। নির্ভরশীলদের ব্যাংকে জমা ছিল তিন লাখ ৬৩ হাজার ৫৭২ টাকা। সবমিলিয়ে শংকর, তার স্ত্রীর ও নির্ভরশীলদের ছিল দুই কোটি ৪ লাখ ২৫ হাজার ১৭ টাকার সম্পদ।
Advertisement
২০২৩ সালের নির্বাচনে হলফনামায় জাতীয় পার্টির এ প্রার্থী উল্লেখ করেছেন, তার বার্ষিক আয় ৪৭ লাখ ৫২ হাজার ২৮০ টাকা। এরমধ্যে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া ২৮ লাখ ৪১ হাজার ১১১ টাকা, ব্যবসা থেকে ২৯ লাখ ৩ হাজার ৬৯ টাকা ও ব্যাংক আমানত ৮ হাজার ১০০ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে চার লাখ ৮৩ হাজার ৩৭১ টাকার। এরমধ্যে নগদ এক লাখ ৬৩ হাজার ৩৭১ টাকা, এক পাজারো গাড়ি (মূল্য দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা), ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ১৫ ভরি সোনা, ইলেকট্রনিক সামগ্রীর মূল্য দেখানো হয়নি ও আসবাবপত্র ১০ হাজার টাকার।
স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৯ কোটি ৭৭ লাখ ৬৭ হাজার ৫৮১ টাকার। তবে ১৬ কোটি ৩২ লাখ ৬ হাজার ৭৫৬ টাকার ঋণ রয়েছে শংকর পালের। এরমধ্যে উত্তরা ব্যাংকে ছয় কোটি ৬ লাখ ১৭ হাজার ৮৫৫ টাকা, ব্র্যাক ব্যাংকে ২৪ লাখ ৭১ হাজার ৯১৩ টাকা এবং পূবালী ব্যাংকে ১০ কোটি ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৮৮ টাকা। এবার স্ত্রী, সন্তান ও নির্ভরশীলদের কোনো সম্পদ ও আয় নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এসআর/এএসএম
Advertisement