খেলাধুলা

ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানিয়ে বিতর্কে খাজা, বললেন এটা রাজনৈতিক নয়

পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্টের বল গড়াবে পার্থে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার। ওই টেস্টের আগে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন অসি তারকা উসমান খাজা। ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন তিনি। তার জুতায় লেখা ছিল, ‘স্বাধীনতা আসলে মানবাধিকার। প্রতিটি জীবনের মূল্য সমান।’

Advertisement

জুতায় এই লেখার কারণেই বিতর্কে পড়তে যাচ্ছেন তিনি। খাজা স্থির করেছিলেন, এই বার্তা সম্বলিত জুতা পরেই প্রথম টেস্টে খেলতে নামবেন। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জানা গেলো, এই বার্তা সম্বলিত জুতা পরে খেলতে নামতে পারছেন না তিনি। সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন স্বয়ং অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। এক ভিডিও বার্তায় খাজা নিজে বলেছেন, তার এই লেখাটা রাজনৈতিক নয়।

All Lives are Equal. Freedom is a Human right. I'm raising my voice for human rights. For a humanitarian appeal. If you see it any other way. That's on you... pic.twitter.com/8eaPnBfUEb

— Usman Khawaja (@Uz_Khawaja) December 13, 2023

প্যাট কামিন্স বলেছেন, ‘আমাদের দলের প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত ও চিন্তাভাবনা আছে। এটাই আমাদের শক্তিশালী দিক। আমার সঙ্গে উজির (খাজা) দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে। আমার মনে হয় না, বিষয়টাকে খুব বড় করে দেখানোর ইচ্ছা ছিল ওর। তবে আমরা ওর পাশে রয়েছি। উসমান জানিয়েছে, ও আর এমন বার্তাবহ জুতা পরে খেলতে নামবে না।’

Advertisement

আইসিসির নিয়মানুযায়ী, অনুমতি ছাড়া ক্রিকেটার ও ম্যাচ কর্মকর্তারা পোশাকে এবং ক্রিকেট সরঞ্জামে রাজনৈতিক কোনও বার্তা ব্যবহার করতে পারবেন না।

অতীতে ফিলিস্তিনের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মইন আলি। একইভাবে নিষিদ্ধ হতে পারতেন খাজাও। কিন্তু ফিলিস্তিনের প্রতি বার্তা সম্বলিত জুতা পরে আর খেলতে নামছেন না অসি তারকা খাজা।

এদিকে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট ম্যাচের বল গড়ায়নি। তার আগেই কিন্তু পরিস্থিতি বেশ জমে উঠেছে। আইসিসি ও খাজার মধ্যে ‘যুদ্ধ’ অব্যাহত।

এক ভিডিও বার্তায় খাজা বলেছেন, ‘আমার প্রশ্ন, স্বাধীনতা সবার জন্য নয়? প্রত্যেকটা জীবন সমান নয়? জুতায় যেটা লিখেছি, তা মোটেও রাজনৈতিক নয়। আমি কোনও পক্ষ গ্রহণ করিনি। আমার কাছে প্রত্যেকটি মানুষের জীবনই সমান। একজন ইহুদি, একজন মুসলিম, একজন হিন্দু- প্রত্যেকের জীবন আমার কাছে সমান। আমি তাদের হয়েই বলেছি, যাদের কথা বলার অধিকারই নেই। হাজার হাজার নিরপরাধ শিশু মারা যাচ্ছে। ওই জায়গায় আমি আমার দুটি মেয়েকে কল্পনা করি। ওরা যদি ওখানে থাকত, তাহলে কী হতো?’

Advertisement

আইএইচএস/