দেশজুড়ে

নগদ টাকা-আয় বেড়েছে জামালের, সহায় সম্পদ সবই খুইয়েছেন স্ত্রী

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী হয়েছেন জামাল রানা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনের মধ্যে এ রাজনৈতিক দলের তিনিই একমাত্র প্রার্থী। গত ৩ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন।

Advertisement

জামাল রানা জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠন যুব সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার কয়েকদিন আগে বিএনএমে যোগ দেন তিনি। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন জামাল রানা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, জামাল রানার আয় ও নগদ টাকা বেড়েছে। কিন্তু গত পাঁচ বছরে সহায়-সম্পদ সবই হারিয়েছেন তার স্ত্রী।

হলফনামা অনুযায়ী জামাল রানার কাছে নগদ রয়েছে তিন লাখ ২৫ হাজার ৮৭৩ টাকা, ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় ছিল এক লাখ ৬৮ হাজার ৮৭৩ টাকা। তবে তার স্ত্রীর কাছে কোনো নগদ টাকা নেই উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ পাঁচ বছর আগে তার স্ত্রীর কাছে ছিল নগদ সাড়ে চার লাখ টাকা।

Advertisement

পাঁচ বছর আগে বিএনএমের এ প্রার্থীর অ্যাকাউন্টে এক লাখ টাকা জমা ছিল। কিন্তু এবার তার ও তার স্ত্রীর ব্যাংকে কোনো টাকা জমা নেই। ২০১৮ সালের নির্বাচনে জামাল রানার বন্ড, স্টক এক্সচেঞ্জ বা ঋণপত্রে কোনো টাকা জমা ছিল না। তবে স্টক এক্সচেঞ্জ বা ঋণপত্রে ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ টাকা রয়েছে বলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।

২০১৮ সালে জামাল রানার কাছে এক লাখ ৫৭ হাজার টাকার বিমা ছিল, যা এবারের হলফনামায় নেই। গাড়ি আগে যা ছিল এখনো তাই আছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামাল রানার অন্যান্য বিনিয়োগ ছিল পাঁচ লাখ ৭৭ হাজার ৫ টাকা এবং তার স্ত্রীর ছিল ২৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা। কিন্তু এবারের হলফনামা অনুযায়ী এ দম্পতির কোনো বিনিয়োগ নেই।

এদিকে গত পাঁচ বছরে জামাল রানার ব্যবসায় আয় বেড়ে পাঁচ লাখ থেকে সাড়ে ছয় লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। তার স্ত্রীর নামে ফ্ল্যাট থেকে তিন লাখ ৭৫ হাজার বছরে যে ভাড়া পেতেন তা বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে জামাল রানার এক লাখ ৪২ হাজার ৮৮০ টাকা মূল্যের এক শতক দোকানের জায়গা রেল থেকে লিজ নেওয়া আছে। এছাড়া আখাউড়া মৌজায় পৈতৃক সূত্রে পাওয়া চার শতক জায়গায় বাড়ি রয়েছে তার।

Advertisement

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/এমএস