গাজীপুরে ট্রেনে নাশকতা নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘এটা নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র, এ নাশকতার লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে দেশের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নাশকতার মাধ্যমে এ নির্বাচন বানচাল করা।’
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন কাদের।
তিনি বলেন, গাজীপুরে ট্রেনে নাশকতা- এটা নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র। রেলে নাশকতা ও আগুন সন্ত্রাস করে তারা দেশে কোনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়? এটাই প্রশ্ন। বিএনপি ও তার দোসররা নাশকতার মাধ্যমে নির্বাচন বানচাল করতে চায়। আমরা সতর্ক পাহারা জোরদার করছি।
Advertisement
নির্বাচন বানচালে বিএনপি-জামায়াত গভীর ষড়যন্ত্র করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আজ তারা গভীর ষড়যন্ত্র করছে। কিছু প্ল্যানও আছে তাদের। তারা চায় গুপ্তহত্যা, গুপ্তহামলা এবং বাস ও ট্রেনে আগুন দিয়ে নাশকতা সৃষ্টি করা। এসব অপকর্ম বিএনপি ও তাদের দোসররা করতে চায়।’
বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সতর্ক আছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা সতর্ক পাহারা আরও জোরদার করছি।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকায় চারজন প্রার্থী রয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়ে আপস করার সুযোগ নেই। তারা এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি বলেছে নির্বাচন করতে চায়, জোটে থাকতে চায়। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কথা তারা বলেনি। তবে আশঙ্কা থাকতে পারে। তবে আমরা নিশ্চিত হতে চাই। এ নিয়ে অস্থিরতার কারণ নেই। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের আওয়ামী লীগ উঠাবে না। স্বতন্ত্র ইস্যুতে শরিকদের সঙ্গে আপস করার সুযোগ নেই।
Advertisement
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন সফল, শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে। ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এটা আমাদের অঙ্গীকার। সমমনাদের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এমআইএইচএস/জেআইএম