এক নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী হলো ভারতের লোকসভা। হঠাৎ করে দর্শক গ্যালারি থেকে অধিবেশন কক্ষে লাফ দিলো দুই ব্যক্তি। এরপর তারা চেয়ার-টেবিলের ওপর উঠে হলুদ গ্যাস নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে পুরো অধিবেশনজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
Advertisement
জানা গেছে, বুধবার শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন হঠাৎ সেখানে ঢুকে পড়ে দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। তাদের কাছে গ্যাস ছোড়ার সরঞ্জাম ছিল। গোটা ঘটনায় নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীয় দলের সংসদ সদস্যরা।
লোকসভায় সংসদ সদস্য অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, দুই তরুণ হঠাৎ গ্যালারিতে লাফিয়ে নেমে পড়ে এবং তারা গ্যাস ছুড়তে থাকে। এসময় সংসদ সদস্য ও নিরাপত্তা রক্ষীরা তাকে ধরে ফেলে। দুপুর ২টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি ছিল।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় সংসদ সদস্য সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আচমকাই এমন হামলায় তারা হতভম্ব হয়ে পড়েন। এমনকী, অজ্ঞাতপরিচয়রা গুলি চালাতে পারে বা বোমা ছুড়তে পারে প্রাথমিকভাবে এমনও আতঙ্ক তৈরি হয় তার মনে। যদিও দুজনকে আটক করা গেছে বলেও জানান তিনি। কী করে লোকসভায় এমন ঘটতে পারে, সেই প্রশ্ন তুলে নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগ তোলেন তিনি।
Advertisement
এদিকে বিজেপি সংসদ সদস্য দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জানান, হঠাৎ দর্শকাসন থেকে লাফ মারে দুই হামলাকারী। প্রাথমিকভাবে তার মনে হয়েছিল, হয়তো কোনো সদস্য পড়ে গেছেন। পরে দেখা যায় বিষয়টা অন্য। কিন্তু কী করে এমন নিরাপত্তায় গলদ দেখা দিলো?
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দিলীপ বলেন, ওরা হয়তো দর্শক হিসেবেই প্রবেশ করেছিল প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়ে। কিন্তু কী করে জুতোয় করে গ্যাস ক্র্যাকার নিয়ে তারা প্রবেশ করলো তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দিলীপ।
এখন পর্যন্ত যা তথ্য মিলছে তা থেকে দাবি করা হচ্ছে, ওই দুই ব্যক্তির সঙ্গে ছিল স্মোক গ্রেনেড। কী করে তারা তা পেল, এর পিছনে কোনো গোষ্ঠীর হাত আছে কিনা তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। বুুধবারই ভারতীয় সংসদে হামলার ২২ বছর পূর্তি। সেদিনই এই হামলার ফলে দুইয়ের মধ্যে কোনো যোগ আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
সূত্র: এনডিটিভি
Advertisement
এমএসএম