পুলিশ কনস্টেবল হত্যাসহ পৃথক ১০ মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটে আদালতে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এ আবেদন করেন। পল্টন থানার সাত মামলা ও রমনা মডেল থানার তিন মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এ মামলাগুলোতে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি।
Advertisement
এদিকে আদালতে সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্র বলছে, মির্জা ফখরুল ১০ মামলার এজাহারনামীয় আসামি হলেও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি। তবে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।বিএনপির আইনজীবীরা বলছেন, তাকে গ্রেফতার না দেখানো না হলেও আমরা জামিন চেয়ে আবেদন করেছি।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় গত ২৯ অক্টোবর গ্রেফতার দেখিয়ে মির্জা ফখরুলকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে এ মামলায় কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদাল জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন>> ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, হাইকোর্টের রুল
Advertisement
এরপর গত ২ নভেম্বর তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। আবেদনের পর আদালতে জামিন শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষ জামিন শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করেন। এরপর আদালত জামিন শুনানি পিছিয়ে ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ওইদিন শুনানি শেষে জজকোর্ট তার জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে গত ৫ ডিসেম্বর উভয় আদালতে তার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়।
গত ৭ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন। রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জেএ/ইএ/এএসএম
Advertisement