জাতীয়

দক্ষিণ সিটির ৫ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় উদ্বোধন আজ

নাগরিক সেবা বাড়াতে সাত বছর আগে রাজধানীর আশপাশের আটটি ইউনিয়নকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) যুক্ত করে সরকার। তখন ইউনিয়নগুলোর প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে পৃথক ১৮টি ওয়ার্ড গঠন করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও ইউনিয়নগুলোতে অবকাঠামো উন্নয়নে তেমন ছোঁয়া লাগেনি।

Advertisement

এখনো ডিএসসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ রাস্তাঘাট ভাঙা। সন্ধ্যার পর সড়কে বাতি জ্বলে না। খাল-ঝিল বা ডোবা আবর্জনায় ভরা, জন্মাচ্ছে মশা। এছাড়া এসব ওয়ার্ডের নাগরিকদের জন্ম ও মৃত্যু সনদ নিতে যেতে হচ্ছে ডিএসসিসির নগর ভবনে। কয়েকটি ওয়ার্ড মিলে একজন করে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ হলেও তাদের বসার মতো জায়গা নেই। নিজ বাসাবাড়ি বা ভাড়াবাড়িতে অফিস পরিচালনা করছেন কাউন্সিলররা। ফলে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নতুন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।

ডিএসসিসি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইউনিয়নগুলো সিটি করপোরেশনে যুক্ত হওয়ার পর প্রায় এক হাজার ১৫০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে ডিএসসিসি। এতে সেখানকার নাগরিকরা সুফল পাওয়া শুরু করে। এরমধ্যে আজ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ধলপুরে র্যাব-১০ এর সাবেক কার্যালয়ে দক্ষিণ সিটির নতুন ৫টি অঞ্চলের (অঞ্চল ৬-১০) আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধন করা হবে।

২০১১ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কাঠামো দুই ভাগ করে সরকার। তখন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নামে আলাদা দুটি সংস্থা গঠন করা হয়। এরমধ্যে ৫৭টি ওয়ার্ড নিয়েছিল ডিএসসিসি। পরে ২০১৭ সালে শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল, সারুলিয়া, ডেমরা, মান্ডা, দক্ষিণগাঁও ও নাসিরাবাদ ইউনিয়নকে ডিএসসিসিতে যুক্ত করে মোট ৭৫টি ওয়ার্ড করা হয়। এই ১৮টি ওয়ার্ড নিয়েই নতুন পাঁচটি অঞ্চল গঠন করেছে ডিএসসিসি।

Advertisement

ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের জানান, পাঁচটি অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের জন্য পৃথক পাঁচটি কার্যালয় তৈরি করা হয়েছে। ধলপুরে এসব কার্যালয়ের উদ্বোধন করবেন ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। এরপর থেকে নাগরীকরা আঞ্চলিক কার্যালয় থেকেই সব ধরনের সেবা পাবেন।

এমএমএ/এমএইচআর/এএসএম