দেশজুড়ে

পুরোনো কাপড়েই নিম্নবিত্তদের শীতবরণ

পৌষে শীতের পূর্ণরূপ দেখা গেলেও চলতি বছর জয়পুরহাটে অগ্রহায়ণের শুরু থেকে বাড়তে শুরু করেছে ঠান্ডার তীব্রতা। নিম্নচাপের ফলে বৃষ্টি সেই তীব্রতা আরও বাড়িয়েছে। ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম পোশাকের বেচাকেনা।

Advertisement

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর শীতের কাপড়ের দোকানগুলো। উচ্চবিত্তরা বড় বড় শোরুম থেকে শীতের পোশাক কিনলেও নিম্ন আয়ের মানুষ বাধ্য হয়ই পুরোনো কাপড়েই শীত বরণ করে নিচ্ছেন।

আরও পড়ুন: ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে শীতের পোশাক

কাপড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিশু ও বয়স্কদের শীতের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাথার টুপি, পায়ের মোজা, হাতমোজা, মাফলার, সোয়েটার, ফুলহাতা গেঞ্জির চাহিদাও বেড়েছে।

Advertisement

রাস্তার পাশে অস্থায়ী পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় লেগেই থাকছে। কম দামে ভালো মানের গরম কাপড় মেলায় এসব দোকানে বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন চাহিদা থাকায় মাঘের শেষ পর্যন্ত বিক্রি চলবে।

জহিরুল ইসলাম নামে একজন জাগো নিউজকে বলেন, শীতের কাপড় কিনতে আমি শোরুমে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে দাম নাগালের বাইরে। তাই রাস্তার পাশের পুরোনো কাপড়ের দোকান থেকে একটি জ্যাকেট কিনতে এসেছি।

রেললাইন এলাকার কাপড় বিক্রেতা বাচ্চু মণ্ডল বলেন, আমরা ঢাকার বিভিন্ন বাজার থেকে পোশাকের তারতম্য অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন দরে পোশাকগুলো কিনে আনি। ৪০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করি। গত সপ্তাহের চেয়ে এখন বিক্রি বেশি হচ্ছে। ঠান্ডা বেশি পড়লে ব্যবসা ভালো হয়।

এনআইবি/জেআইএম

Advertisement