বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারসহ মোট ছয় অভিযুক্তকে আগামী ১৬ জানুয়ারি ফের কলকাতার নগর দায়রা আদালতে তোলা হবে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) কলকাতা নগর দায়রা আদালতের স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে এই মামলাটি ওঠে।
Advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে সাড়া ফেলেছে ‘নোনা পানি’
কিন্তু আদালতের এক কর্মীর মৃত্যুতে এদিন আদালতে কর্মবিরতি পালন করা হয়। ফলে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী উপস্থিত থাকলেও এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।স্বভাবতই বিচারক শুভেন্দু সাহা আগামী ১৬ জানুয়ারি পরবর্তী হাজিরাে দিন ধার্য করেন।
এময় কাঠ গড়ায় উপস্থিত ছিলেন পিকে হালদার ও তার ভাই প্রাণেশ হালদার, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, ইমাম হোসেন বা ইমন হালদার, আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদার।
Advertisement
মঙ্গলবার সকালে পিকে হালদারের সঙ্গে অন্যান্য অভিযুক্তদের পুলিশের একই প্রিজনভ্যান থেকে নামতে দেখা যায়।যদিও একমাত্র নারী অভিযুক্তকে আলাদা পুলিশের প্রিজনভ্যানে আনা হয়।
আদালতে দাঁড়িয়ে থাকা সাংবাদিকরা প্রশান্তকুমার হালদারকে প্রশ্ন করেন, সামনে বাংলাদেশের নির্বাচন। এ বিষয়ে কিছু বলবেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে পুলিশের প্রিজনভ্যান থেকে নেমে সোজা কোর্ট লকাপে প্রবেশ করেন পিকে হালদারসহ ৬ অভিযুক্ত।
বহু আলোচিত এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে খবর, ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজ, বোর্ড হাউস ১৫, গ্রিনটেক সিটি থেকে গ্রেফতার করা হয় পিকে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে শিবশঙ্কর হালদারকে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় অনুষ্ঠিত হলো ইন্দো-বাংলা নোয়াখালী উৎসব
Advertisement
এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পিকে হালদারের আরও ৫ সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদার। গত ২১ মে অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইনে (পিএমএলএ) তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
ডিডি/টিটিএন