প্রমোদতরীতে চড়ে সমুদ্রে ভেসে বেড়ানোর শখ সবার মনেই আছে। বিদেশে ছুটি কাটাতে গিয়ে বিশেষ করে মালদ্বীপ বা থাইল্যাল্ডে গিয়ে অনেকেই গা ভাসান প্রাইভেট প্রমোদতরীতে।
Advertisement
আবার ধনী ব্যক্তিদের তো নিজেদেরই এক বা একাধিক ব্যক্তিগত প্রমোদতরী থাকে অবকাশ যাপনের জন্য। তবে কখনো কি জানার ইচ্ছে হয়েছে যে, বিশ্বের সবচেয়ে দামি প্রমোদতরীটি কে ব্যবহার করেন?
আরও পড়ুন: একদিনের জন্য বিয়ে হয় যেখানে
জানলে অবাক হবেন, ১০ হাজার কেজি সোনা দিয়ে তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে দামি প্রমোদতরীটি কিনেছেন মালয়েশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি রবার্ট নক।
Advertisement
প্রমোদতরীর নাম ‘হিস্ট্রি সুপ্রিম’। এখন পর্যন্ত বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি ইয়ট বা প্রমোদতরী এটি। এই প্রমোদতরীটি ডিজাইন করে স্টুয়ার্ট হিউজ। ১০০ ফুটের এই প্রমোদতরীর চোখ ধাঁধানো রূপ আপনাকে মুগ্ধ করবে। এটি সোনায় আচ্ছাদিত।
ব্রিটিশ বিলাসবহুল গ্যাজেট গুরু ও এই প্রমোদতরীর ডিজাইনার স্টুয়ার্ট হিউজ একটি আইপ্যাড অ্যালকেমিস্ট হিসেবে তার কাজ থেকে বিরতি নিয়েছিলেন এই প্রমোদতরীর কাজ সম্পন্ন করতে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের যে ৬ দেশে নাগরিকত্ব পাওয়া কঠিন
জানা যায়, হিস্ট্রি সুপ্রিম প্রমোদতরীর মূল্য ৪.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা সম্পূর্ণ প্ল্যাটিনাম ও সোনা দিয়ে তৈরি। হিস্ট্রি সুপ্রিমই নাকি এখন পর্যন্ত বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি প্রমোদতরী।
Advertisement
আরও পড়ুন: একই দেশের অর্ধেক অংশে যখন দিন, বাকি অর্ধেকে রাত
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই প্রমোদতরী নির্মাণে প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার ৪৬২ পাউন্ড মূল্যবান ধাতু ব্যবহার করা হয়েছে।
আর প্রমোদতরীর কাজ শেষ করতে ৩ বছর সময় লেগেছিল। এই প্রমোদতরীর রেলিং, নোঙ্গর, খাবারের জায়গা ও নৌকার ভিত্তিসহ সবকিছু সোনা ও প্ল্যাটিনামে আচ্ছাদিত।
আরও পড়ুন: এই বনে ঘুরতে গেলেই কেন মানুষ আত্মহত্যা করে?
প্রমোদতরীতে ১০ হাজার কিলোগ্রাম সলিড সোনা ও প্ল্যাটিনাম আছে। এই বিলাসবহুল প্রমোদতরীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হলো এর মূল বেডরুম। যেখানে প্রকৃত টাইরানোসরাস রেক্স হাড় ও একটি উল্কা পাথরের প্রাচীর থেকে তৈরি মূর্তি আছে।
একটি ১৮.৫ ক্যারেট হীরায় মোড়ানো মদের বোতল ও একটি ৬৮ কেজি ২৪ ক্যারেট সোনার অ্যাকোয়াভিস্তা প্যানোরামিক ওয়াল অ্যাকোয়ারিয়াম আছে। যা এই স্যুটের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
সূত্র: ডিএনএ ইন্ডিয়া
জেএমএস/এএসএম