অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছে ইসরায়েল। গাজায় ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার শতাধিক ইতিহাসবিদ একটি খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। তারা বলছেন, গাজার অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
Advertisement
অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসবিদদের দাবি ফিলিস্তিনিদের জীবন ধ্বংস করা এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য গাজায় বসবাস করা অসম্ভব করে তোলাই ইসরায়েলি বাহিনীর মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: হামাসকে নির্মূলে উঠে পড়ে লেগেছে ইসরায়েল
সেখানে স্বাক্ষর করা ব্যক্তিরা গাজার বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, গ্রন্থাগার, আর্কাইভ, মসজিদ এবং গীর্জা ধ্বংসের কথাও উল্লেখ করে বলেন, ইতিহাসবিদ হিসাবে আমরা এটিকে জনগণের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের উপর আক্রমণ হিসাবেই দেখছি।
Advertisement
গাজার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে (পিডিএফ) জানিয়েছে যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে ২৮ জন সাংস্কৃতিক কর্মী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সঙ্গীতশিল্পী, প্রকাশক এবং লোক নৃত্যশিল্পীও রয়েছেন।
গাজা থেকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নির্মূল করতে একেবারে উঠে পড়ে লেগেছে ইসরায়েলি। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে অভিযান আরও বাড়ানো হয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি গাজায় তাদের অভিযানের বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাদের সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকায় হামাসের শক্ত ঘাঁটিতে আক্রমণ ‘তীব্র’ করছে।
তিনি বলেন, আইডিএফ খান ইউনিসে হামাসের শক্ত ঘাঁটি শনাক্ত করার দিকে মনোনিবেশ করবে এবং শহরে হামাসের অবকাঠামো ধ্বংস না করা পর্যন্ত সামরিক চাপ প্রয়োগের বিষয়টি চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞাপনে গাজায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিরূপ, বয়কটের মুখে ‘জারা’
Advertisement
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজার দক্ষিণের খান ইউনিসের কেন্দ্রীয় অংশ থেকে লোকজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বেসামরিক নাগরিকদের মিশরীয় সীমান্তের কাছাকাছি যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
টিটিএন