সীমিত ওভারে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও টেস্টে পাকিস্তানের মিডল অর্ডারে অন্যতম ভরসার নাম ছিলেন আসাদ শফিক। দেশের হয়ে ৭৭টি টেস্ট খেলা এই ব্যাটার সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন এবার।
Advertisement
৩৭ বছর বয়সী আসাদ শফিক একটা সময় মিসবাহ-উল-হকের অধীনে মিডল অর্ডারে সেরা পছন্দ ছিলেন। ২০১৬ সালে পাকিস্তান টেস্ট র্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠেছিল, সেই দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন এই শফিক।
রোববার ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি লিগে করাচি ওয়াইটসের শিরোপাজয়ী অধিনায়ক হয়ে এই বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন শফিক।
২০১০ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া শফিক দেশের হয়ে ৭৭ টেস্টে ১২ সেঞ্চুরিসহ ৩৮.১৯ গড়ে করেছেন ৪৬৬০ রান। ওয়ানডেও খেলেছেন ৬০টি। তবে খুব সুবিধা করতে পারেননি। ২৪.৭৪ গড়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ার শেষ হয়েছে আসাদের। ১০টি টি-টোয়েন্টিতে তিনি করেছেন ১৯২ রান।
Advertisement
বিদায়বেলায় শফিক বলেন, 'খেলাটা শুরু করার সময় আমার যে রোমাঞ্চ এবং উদ্যম ছিল, এখন আর সেটা অনুভব করছি না। ২০২০ সালে দল থেকে বাদ পড়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি তিন বছর। আশা ছিল, পাকিস্তান দলে ফিরব। তবে এই মৌসুম শুরুর আগেই আমি সিদ্ধান্ত নেই, এটাই হবে শেষ। কারণ আমার বয়সটাও প্রায় ৩৮ হয়ে গেছে। মানুষ বলার আগেই আমার অবসর নেওয়া উচিত।
আসাদ শফিক খেলোয়াড়ি জীবন শেষ করলেও পাকিস্তান ক্রিকেটে তাকে নতুন ভূমিকায় দেখা যেতে পারে। জাতীয় দলের নির্বাচক হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে তার।
এমএমআর/এএসএম
Advertisement