কোরআনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সুরা সুরা বাকারা ও সুরা আলে ইমরান। হাদিসে রাসুল (সা.) এ সুরা দুটিকে ‘যাহরাওয়াইন’ বা ‘দুই জ্যোতির্ময় সুরা’ বলেছেন। এই দুটি সুরায় আল্লাহ ইসলামের বহু বিধিবিধান বর্ণনা করেছেন এবং ইহুদি ও খৃষ্টানদের বিভিন্ন ভ্রষ্টতা ও ভ্রান্তি তুলে ধরেছেন। যেন মুসলমানরা ওইসব ভ্রষ্টতা ও ভ্রান্তি থেকে বেঁচে থাকতে পারে। দুটি সুরাই মাদানি বা রাসুলের (সা.) মাদিনায় হিজরতের পরে অবতীর্ণ। সুরা বাকারা কোরআনের সবচেয়ে বড় সুরা। এর আয়াত সংখ্যা ২৮৬, রুকু সংখ্যা ৪০। সুরা আলে ইমরানের আয়াত ২০০, রুকু সংখ্যা ২০।
Advertisement
বিভিন্ন বর্ণনায় এসেছে রাসুল (সা.) বলেছেন, এ দুটি সুরা কেয়ামতের দিন মেঘ, ছায়া বা দলবদ্ধ পাখির ঝাঁকের মতো এসে উপস্থিত হবে। যারা এ দুটি সুরা পাঠ করতো, তারা ওই ছায়ায় স্থান পাবে। সুরা দুটি তার পাঠকদের পক্ষে আল্লাহর কাছে সুপাররিশ করবে। আবু উমামাহ বাহেলি (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাছে শুনেছি, তিনি বলেছেন, তোমরা কোরআন পাঠ কর। কোরআন কিয়ামতের দিন তার পাঠকারীদের জন্য সুপারিশকারী হিসেবে উপস্থিত হবে। তোমরা দুই জ্যোতির্ময় সুরা ‘বাকারা’ ও ‘আলে ইমরান’ পাঠ কর। এ দুটি সুরা কেয়ামতের দিন মেঘ অথবা উড়ন্ত পাখির ঝাঁকের মতো উপস্থিত হয়ে তাদের পাঠকারীদের পক্ষে সুপারিশ করবে। (সহিহ মুসলিম)
নাউওয়াস ইবনে সামআন কিলাবি (রা.) বলেন, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, কেয়ামতের দিন কোরআনকে হাজির করা হবে এবং আহলে কোরআনদেরও; যারা কোরআন অনুযায়ী আমল করত। সবচেয়ে আগে থাকবে সুরা বাকরা ও সুরা আলে ইমরান। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কেয়ামতের দিন সুরা দুটির তিনটি রূপ হতে পারে বলে উল্লেখ করেছিলেন, আমি এখনও ভুলে যাইনি। তিনি বলেছেন, দুই খণ্ড মেঘ, কালো ছায়া যার মাঝে থাকবে দীপ্তি অথবা উড়ন্ত পাখীর ঝাঁক; সুরাদুটি পাঠকারীদের জন্য সুপারিশ করবে। (সহিহ মুসলিম)
ওএফএফ/এমএস
Advertisement