দেশজুড়ে

দাঁড়িয়ে থেকে ৪০০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করলেন সহকারী কমিশনার

দেখলে মনে হবে লাইন ধরে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু না, বিষয়টি ভিন্ন। এটি সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারের একটি মুদির দোকানে পেঁয়াজ কিনতে আসা ক্রেতাদের সারি।

Advertisement

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে বেশি দামে ক্রেতাদের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়ে পাগলা বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছকিনা আক্তার। অভিযানে তার প্রমাণও পান। তাই অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রির অপরাধে শাস্তিস্বরূপ মেসার্স দোলন স্টোরের ৪০০ কেজি পেঁয়াজ ১২০ টাকা দরে নিজে উপস্থিত থেকে বিক্রি করেন ছকিনা আক্তার। খবরটি বাজারব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে কম মূল্যে পেঁয়াজ কিনতে এভাবেই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান ক্রেতারা।

একই অভিযোগে নিশি স্টোরের ১০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়।

কম দামে পেঁয়াজ নিতে আসা মিলন মিয়া ও লিটন মিয়া নামের দুই ক্রেতা বলেন, পাগলা বাজারে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। ফলে আজ মোবাইল কোর্ট এসে দাঁড়িয়ে থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। দুই কেজি করে দুজনে ৪ কেজি কিনেছি।

Advertisement

শান্তিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছকিনা আক্তার বলেন, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন। দোলন স্টোরের মালিক পেঁয়াজ গোপনের চেষ্টা করেছেন। আমরা খুঁজে বের করে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করিয়েছি। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে পেঁয়াজ কিনেছেন। পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ সহযোগিতা করেছে। আমি বাজারের সব ব্যবসায়ীকে বলেছি, ১৩০ টাকার বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করলে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। আমাদের নিজস্ব লোক ছদ্মবেশে বাজারে পেঁয়াজের দাম মনিটরিং করবে। লিপসন আহমেদ/এফএ/এমএস