ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর ভারত থেকে আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলা পাঁচ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের মধ্যে ১৬০০ টন এরই মধ্যে দেশে এসেছে। বাকি ৩৪০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দ্রুত ছাড় করার অনুরোধ জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারত সরকারকে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
Advertisement
এদিকে, দেশে যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি নিশ্চিত করতে কঠোর মনিটরিং করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা হায়দার আলী জাগো নিউজকে বলেন, টিসিবির পাঁচ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির এলসি খোলা ছিল। তার মধ্যে ১৬০০ টনের মতো দেশে এসেছে। বাকি ৩৪০০ টন যেন দ্রুত ছাড় করা হয়ে সে ব্যাপারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি জানান, অন্যদিকে প্রাইভেট খাতের ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির এলসি খোলা আছে। সেগুলোও যেন দ্রুত ছাড় করা হয় সে বিষয়ে ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুতই এসব পেঁয়াজ দেশে আসবে।
Advertisement
গত বৃহস্পতিবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারে রাতারাতি পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আমরা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি। কীভাবে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজের আমদানি বাড়ানো যায়, সে চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত থাকবে। দেশের সর্বত্র যৌক্তিক দামে পেঁয়াজ বিক্রি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দেশের মানুষ কষ্ট পায় এমন কিছু করা ঠিক হবে না উল্লেখ করে তিনি ব্যবসায়ীদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
Advertisement
আইএইচআর/এমকেআর/জেআইএম