দেশজুড়ে

২২ লাখ থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকা সম্পদের মালিক ছেলুন জোয়ার্দ্দার

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টানা তিনবারের সংসদ সদস্য তিনি। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার আয় ও সম্পদের পরিমাণ ছিল বেশ কম। সেসময় তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল মাত্র ২২ লাখ ৯০ হাজার ৯৬৬ টাকার। ১৫ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে প্রায় ২০ গুণ। বর্তমানে নগদ টাকাসহ চার কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৯৬৬ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার।

Advertisement

১৫ বছরে তার স্ত্রীর সম্পদও বেড়েছে প্রায় ছয়গুণ। ২০০৮ সালে তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬৮ লাখ ১০ হাজার ১০ টাকা। বর্তমানে তার স্ত্রী চার কোটি ৬২ লাখ ৪৯ হাজার টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, ছেলুন জোয়ার্দ্দারের নগদ রয়েছে ২১ হাজার ২৯১ টাকা, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ থেকে বার্ষিক আয় ৪৬ লাখ ৩৫২ টাকা। এরমধ্যে কৃষিখাত থেকে ৪৯ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ১০ লাখ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে আয় ছয় লাখ ১ হাজার ৮০০ টাকা, অন্যান্য পারিতোষিক ও ভাতাদি থেকে প্রাপ্ত আয় ২৯ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫২ টাকা।

ব্যাংকে জমা আছে এক কোটি ৯৩ লাখ ৭১ হাজার ৭০৯, সঞ্চয়পত্র ৩০ লাখ, যানবাহন থেকে আয় ৯৫ লাখ ২৬ হাজার, স্বর্ণালংকার ১২ হাজার, টিভি-ফ্রিজ ৪০ হাজার, আসবাবপত্র ৪০ হাজার ও ডিপিএস এক কোটি ২০ লাখ টাকার। স্থাবর সম্পদ হিসেবে পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত কৃষিজমি দুই একর, অকৃষি জমি ১ দশমিক ৪৪ একর এবং পাঁচ কাঠা জমি কিনেছেন তিনি। যার মূল্য ২০ লাখ ১৭ হাজার ৯৬৬ টাকা।

Advertisement

তার স্ত্রীর নামে রয়েছে নগদ এক লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা এক লাখ ৮৮ হাজার ৭২, সঞ্চয়পত্র দুই কোটি এবং ব্যবসায় বিনিয়োগ এক কোটি ৫০ লাখ ৮৫ হাজার ৯২৮ টাকা। স্থাবর সম্পদ হিসেবে অকৃষি জমি রয়েছে ৮৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকার। এছাড়া ঢাকার লালমাটিয়ায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার মূল্য ৪০ লাখ টাকা।

২০০৮ সালে যখন সংসদ নির্বাচন করেন, তখন এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার কৃষিখাত থেকে আয় দেখিয়েছিলেন ২০ হাজার টাকা। এর পাশাপাশি ব্যবসা থেকে আয় এক লাখ ৯০ হাজার টাকা, মৎস্য চাষ ও ব্যাংক সুদ থেকে এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা। সেসময় স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তার সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ২২ লাখ ৯০ হাজার ৯৬৬ টাকার।

এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে সময় তার বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৪৮ লাখ ৬৭ হাজার ৪০২ টাকা। কৃষিখাত থেকে আয় হয় ২০ হাজার টাকা। ওইসময় তার হাতে নগদ ছিল এক লাখ টাকা এবং ব্যাংকে জমা ৩৯ লাখ ৪১ হাজার ৩১৯ টাকা। এ টাকাসহ তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল দুই কোটি ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬৫ টাকার।

২০১৮ সালের নির্বাচনে বার্ষিক ৪২ লাখ ৭ হাজার ২৯৩ টাকা আয় ছিল চুয়াডাঙ্গার এ এমপির। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল দুই কোটি ৭৭ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৬ টাকান।

Advertisement

হুসাইন মালিক/এসআর/জিকেএস