দেশজুড়ে

একদিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১২৫ টাকা

ভারত থেকে রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় দেশের বাজারে অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের দাম। চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১২০-১২৫ টাকা বেড়েছে। ৮০ টাকা কেজির পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ২২০-২২৫ টাকা।

Advertisement

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে পৌরশহরের বিভিন্ন পেঁয়াজের বাজারে গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এতে যেমন বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি বিপাকে পড়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরাও।

পৌরবাজারে পেঁয়াজ কিনতে এসেছিলেন শাজহান আলী। তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেলে পেঁয়াজ কিনেছি ১০০ টাকা কেজি। আর আজকে এসে দেখি পেঁয়াজের কেজি ২২০ টাকা। এতে আমার আয় ব্যয়ের হিসেব মিলছে না। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে তো কি হয়েছে। এজন্য একদিনে ১২০ টাকা বেড়ে যাবে পেঁয়াজের দাম এটি অস্বাভাবিক। নিশ্চিত এর পেছনে সিন্ডিকেট কাজ করছে।

শিবগঞ্জ বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২৫ টাকা কেজি দরে। এখানে পেঁয়াজ কিনতে করতে আসা নাজমুল আলী নামে এক স্কুল শিক্ষক বলেন, ২৪ ঘণ্টায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ১২৫ টাকা। কিন্তু আমাদের তো আয় বাড়ছে না। বর্তমানে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি। তাই অল্প পরিমাণ পেঁয়াজ কিনে বাসাই যাচ্ছি।

Advertisement

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে সাঈদ নামে এক আমদানিকারক বলেন, ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এতে যেমন বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। তেমনি আমাদের ব্যবসায়ও প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে পেঁয়াজ আমদানির চুক্তি ছিল চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু ৭ ডিসেম্বর ভারতীয় সরকার তা বন্ধ করে দিয়েছে। তাই স্থানীয় বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম।

সোনামসজিদ স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রশিদ বলেন, আজকে আগের এলসি করা পেঁয়াজগুলো স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে। তবে নতুন করে এলসির সুযোগ না থাকায় দু-তিন দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে পেঁয়াজ আমদানি।

এর আগে বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) জানায়, পেঁয়াজের রপ্তানি নীতি ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সোহান মাহমুদ/এসজে/এমএস

Advertisement