আন্তর্জাতিক

সাময়িকভাবে গর্ভপাত নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে

নারীদের ইচ্ছাকৃত গর্ভপাত সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটনের পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্ন আদালতের দেওয়া জরুরি গর্ভপাতে অনুমতির রায় স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট গত বছর গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার বাতিল করে। এরপর থেকে এই আইনি লড়াই দেশটিতে প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু টেক্সাসের মতো আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্য নারীর স্বেচ্ছা গর্ভপাতকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করছে।

এদিকে টেক্সাসের ডালাস-ফোর্ট ওয়ার্থ এলাকার কেট কক্স (৩১) নামের এক নারী গর্ভপাতের জন্য আদালতের অনুমোদন চান। কিন্তু গত ২৭ নভেম্বর তার ভ্রূণে ট্রাইসোমি-১৮ ধরা পড়ে। এটি একটি জেনেটিক ত্রুটি, যার ফলে গর্ভপাত কিংবা মৃত সন্তান প্রসব বা জন্মের পরপরই মায়ের মৃত্যু হয়।

প্রায় ২০ সপ্তাহের গর্ভবতী কক্স মামলার এজাহারে উল্লেখ বলেন, যদি তিনি এই সন্তান গর্ভে ধারণ করেন, তবে তাকে তৃতীয়বারের মতো সিজার করাতে হবে। এটি তার আরও সন্তান নেওয়ার ক্ষমতাকে নষ্ট করে দিতে পারে। তাছাড়া তিনি ও তার স্বামী ভবিষ্যতে আরও সন্তান নিতে চান বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

Advertisement

সেন্টার ফর রিপ্রোডাক্টিভ রাইটসের সিনিয়র স্টাফ অ্যাটর্নি মলি ডুয়ান বলেছেন, আমরা এখনো আশা করি যে আদালত খুব দ্রুতই রাষ্ট্রের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করবেন। তবে আমাদের আশঙ্কা, বিচারপ্রক্রিয়া বিলম্বিত হলে আমরা ন্যায়বিচার পাবো না।

এর আগে ওষুধ খেয়ে গর্ভপাত করায় যুক্তরাষ্ট্রে নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের এক তরুণীকে ৯০ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন একটি আদালত। ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণীর নাম সেলেস্তে বার্গেস। গর্ভপাতে সহায়তা করার অভিযোগ সেলেস্তের মা জেসিকা বার্গেসকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন একই আদালত।

মামলার এজহারে বলা হয়েছিল, গর্ভপাত করানোর সময় সেলেস্তের বয়স ছিল ১৭ বছর। সে সময় অঙ্গরাজ্যে গর্ভধারণের ২০ সপ্তাহের পর গর্ভপাত আইনত নিষিদ্ধ ছিল। সেলেস্তে প্রায় ২৮ সপ্তাহে অবৈধভাবে গর্ভপাত করেন।

চলতি বছরের শুরুর দিকে রাজ্যের আইনপ্রণেতারা গর্ভধারণের ১২ সপ্তাহ থেকে গর্ভপাত নিষিদ্ধের আইন পাস করেন। আদালতের নথি অনুযায়ী, সেলেস্তে তার গর্ভাবস্থার তৃতীয় মাসে গর্ভপাত করানোর জন্য ওষুধ খেয়েছিলেন, নেব্রাস্কার আইন অনুযায়ী যা অবৈধ।

Advertisement

সূত্র: সিএনবিসি

এসএএইচ