শেরে বাংলার উইকেট নিয়ে নানা তির্যক কথাবার্তা হচ্ছে টেস্ট শুরুর আগে থেকেই। বাংলাদেশ হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, হোম অব ক্রিকেটের উইকেট ‘আনপ্রিডিক্টেবল’।
Advertisement
কিন্তু আজ শনিবার টেস্ট ম্যাচ শেষে শোনা গেল ভয়াবহ মন্তব্য। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদির ৯৫ টেস্ট খেলা সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারের মধ্যে এটাই নাকি সবচেয়ে খারাপ পিচ!
খেলা শুরুর পর থেকেই শেরে বাংলার পিচ নিয়ে নানা আলোচনা। সবার একটাই কথা, এ কেমন উইকেট? এ যে স্পিনারদের স্বর্গ! শুরু থেকেই ‘ইয়া বড় বড় টার্ন।’ প্রথম ঘণ্টা থেকেই পিচের পুরো নিয়ন্ত্রণ স্পিনারদের হাতে।
তাইজুল, মিরাজ, নাঈম, অ্যাজাজ আর স্যান্টনারদের খেলতে ঘেমে নেয়ে উঠেছেন দুই দলের ব্যাটাররা। প্রথম দিনই পতন ঘটে ১৫ উইকেটের। যা বাংলাদেশের কোন টেস্ট ভেন্যুতে টেস্টের প্রথম দিনে সর্বাধিক উইকেটের রেকর্ড।
Advertisement
তারপর বৃষ্টিতে ধুয়েমুছে যায় দেড় দিন। গতকাল শুক্রবার লাঞ্চের পর শুরু হয়ে ৩২.৩ ওভার খেলা হওয়ার পরই আলোর স্বল্পতায় শেষ হয় বাকি সময়ের খেলা। আর আজ শনিবার চতুর্থ দিন চা বিরতির ঘণ্টাখানেক পরই শেষ হয়ে গেল টেস্ট।
পাঁচ দিনে ৯০ ওভার করে হলে ৪৫০ ওভার খেলা হওয়ার কথা। সেখানে বৃষ্টির বাধায় খেলা হলো মাত্র ১৭৮.১ ওভার। আর তাতে পতন ঘটলো ৩৬ উইকেটের! যার মধ্যে আবার ২৯ উইকেটই জমা পড়েছে স্পিনারদের পকেটে।
দুই দলের পেসাররা এই টেস্টে মোটে ৫ উইকেট পেয়েছেন। কাজেই পরিসংখ্যান বলেই দিচ্ছে, এ টেস্ট ম্যাচে স্পিনাররাই ছিলেন নির্ধারক।
স্পিনারদের এ টেস্টে গড়পড়তা স্কোরলাইনও অনেক কম ছিল। এমনকি ২০১৬ সালের বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড (২৪৯), বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া (২৩৫.৫) টেস্টের গড় রান ছিল এ ম্যাচের (১৫৮.৭৫) চেয়ে ঢের বেশি।
Advertisement
এমন উইকেটকে ভালো বলার উপায় নেই। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদিও ম্যাচ শেষে জানিয়ে গেলেন, তার টেস্ট (৯৫ টি) ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে পিচ ছিল এটি। এত বাজে উইকেটে খেলার আর পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই তার।
সাউদি বলেন, ‘সম্ভবত আমার ক্যারিয়ারে খেলা সবচেয়ে বাজে উইকেট (পিচ) এটি। যেমনটা বললাম, ব্যাট ও বলের মধ্যে ভারসাম্য যেটা থাকার কথা, সেটা ছিল বোলারদের হাতে। আমার মনে হয় ১৭০ ওভারেই ম্যাচটা শেষ হয়ে যাওয়ায় সেটা বোঝাই যাচ্ছে। তবে ছেলেরা যেভাবে খেলেছে এবং এগিয়ে এসেছে, এই জয়টা আনন্দের।’
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম